প্রতীকী ছবি।
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। রাত পোহালেই প্রথম পার্বণ পয়লা বৈশাখ। বঙ্গাব্দের সূচনালগ্নটিতে খাদ্যরসিক বাঙালির রসনার তৃপ্তিতে উদ্যোগী হয়েছে পঞ্চায়েত দফতর। হোয়াটসঅ্যাপে বরাত দিলেই বাড়িতে পৌঁছে যাবে ইলিশ ভাপা থেকে বিরিয়ানি। ১৪ ও ১৫ এপ্রিল দু’দিন কলকাতা শহর ও তার সংলগ্ন কয়েকটি পুর এলাকাবাসীর জন্য ভূরিভোজের যোগানের আয়োজন করা হয়েছে। পঞ্চায়েত দফতরের অন্তর্গত সুসংহত এলাকা উন্নয়ন পর্ষদ (সিএডিসি) এই সুবিধা নিয়ে হাজির হচ্ছে শহরবাসী বাঙালির দুয়ারে। এই দু’দিন দুপুরে ও রাতের রান্না থেকে গৃহিণীদের মুক্তি দিতে স্বল্প খরচে আহারের সুযোগ থাকছে। বাঙালির নববর্ষ পালনে গৃহিণীরা যাতে হেঁসেল থেকে দূরে আমোদ-প্রমোদে থাকতে পারেন, সে কথা মাথায় রেখেই এই আয়োজন বলে জানিয়েছেন পঞ্চায়েত দফতরের এক আধিকারিক। এই উদ্যোগে বিশেষ ধরনের মুরগির মাংস থেকে খাসি, দই কাতলা থেকে ইলিশ ভাপার মতো সনাতনী পদ বাঙালির ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চাইছে।
পঞ্চায়েত দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বর্ষবরণের দু’দিন অর্থের বিনিময়ে মিলবে বিশেষ থালি। দুপুরের থালিতে থাকছে, দেহরাদূন চালের ভাত, পোস্ত দিয়ে উচ্ছে, আলু ভাজা, টক ডাল, ইলিশ মাছ ভাপা, চিকেন কষা, চাটনি, পাপড়, মিষ্টি এবং পান। কেউ যদি মুরগির মাংসের বদলে খাসির মাংস পেতে চান, তার জন্যও পৃথক বন্দোবস্ত থাকছে। বরাত দেওয়ার সময় চাহিদার কথা জানিয়ে দিলে, ইলিশ ভাপা ও মুরগির মাংসের বদলে পাওয়া যাবে দই কাতলা এবং মটন কষা। প্রতিটি থালি পেতে দিতে হবে ৫০০ টাকা করে। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮১৭০৮৮৭৭৯৪/ ৯৭৩৪৩৯৯৯১৫ নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ করে বরাত দিলেই চাহিদা মতো খাবার পৌঁছে যাবে। অনলাইনে টাকা দেওয়া ছাড়াও খাবার পৌঁছে দেওয়ার পর টাকা দেওয়ার ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে।
রাতে আবার থাকছে পৃথক আয়োজন। নৈশ আহার হিসেবে কর্তৃপক্ষ রেখেছেন চিকেন ও মটন বিরিয়ানি। চিকেন বিরিয়ানি পেতে খরচ করতে হবে ১৩০ টাকা। আর মটন বিরিয়ানির ক্ষেত্রে খরচ হবে ১৭৫ টাকা। সম্প্রতি বাড়ির পোষ্য, অর্থাৎ বেড়াল ছানা, কুকুর ছানার জন্যেও বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যহস্থা চালু করেছে সিএডিসি। বাংলা বর্ষবরণে সেই সুবিধা বহাল থাকছে। কলকাতা শহর ছাড়া, বিধাননগর, বরাহনগর, উত্তর ও দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকায় এই পরিষেবা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পঞ্চায়েত দফতর।