Gurap rape and murder case

পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে খুন! গুড়াপের ঘটনায় রায়দান ৫২ দিনে, দোষী সাব্যস্ত প্রতিবেশী প্রৌঢ়

হুগলির গুড়াপে পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রতিবেশী প্রৌঢ়কে দোষী সাব্যস্ত করল চুঁচুড়ার পকসো আদালত। রায় এল ৫২ দিনে। আগামী ১৭ জানুয়ারি সাজা ঘোষণা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৪৮
Share:

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

হুগলির গুড়াপে পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রতিবেশী প্রৌঢ়কে দোষী সাব্যস্ত করল চুঁচুড়ার পকসো আদালত। রায় এল ৫২ দিনে। আগামী ১৭ জানুয়ারি সাজা ঘোষণা।

Advertisement

গত ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যাবেলা বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল ওই শিশু। বাজারে যাওয়ার সময় তাকে খেলা করতে দেখেছিলেন বাবা। ফিরে এসে মেয়ের খোঁজ না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। ডাকেন প্রতিবেশীদেরও। সকলে মিলে এলাকায় খোঁজাখুঁজি করতে গিয়েই অশোক সিংহ নামে প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে শিশুর দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এর পরেই অভিযুক্ত প্রৌঢ়কে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। পরে প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার তাকেই দোষী সাব্যস্ত করলেন বিচারক চন্দ্রপ্রভা চক্রবর্তী।

আদালত সূত্রে খবর, শিশুকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় গত ৯ ডিসেম্বর চার্জশিট জমা দিয়েছিল পুলিশ। চার্জ গঠন হয় ১১ ডিসেম্বর। এর পর এক মাসের মধ্যে ২৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ-সহ গোটা বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করে রায় ঘোষণা করলেন বিচারক। সরকারি আইনজীবী বলেন, ‘‘নতুন যে বিএনএস আইন এসেছে, তাতেই এত দ্রুত বিচারপর্ব শেষ হল। বিচারপর্ব শুরু হওয়ার পর বড়দিনের সময় সাত দিন ছুটি ছিল। না-হলে আরও আগে নিষ্পত্তি হত মামলার। এটা সম্ভব হয়েছে পুলিশের সঠিক তদন্তের ফলে।’’

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটির বাড়ির পাশেই অশোকের বাড়ি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার বাড়িতে কম্বল ও কাঠ দিয়ে চাপা দেওয়া অবস্থায় শিশুটির দেহ পাওয়া গিয়েছিল। অশোকের বিরুদ্ধে আগেও নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেগুলি ধামাচাপা পড়ে গিয়েছিল। স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘সন্ধ্যার পর থেকে আমরা সকলেই খোঁজাখুঁজি করছিলাম সেই দিন। অশোককেই আমাদের সন্দেহ হয়েছিল। পরে ওর বাড়ি থেকেই পাওয়া গিয়েছিল মেয়েটিকে। কাঠ, কম্বল চাপা দিয়ে রেখে দিয়েছিল। ওর স্বভাব খারাপ। নিজের মেয়ের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করত। আগেও এমন কিছু ঘটনা ঘটিয়েছিল। পরে তা ধামাচাপা পড়ে যায়। আমরা ওর ফাঁসি চাই।’’

দোষীর ফাঁসির দাবি জানিয়েছিলেন শিশুর মা-বাবাও। আগামী ১৭ জানুয়ারি আদালত দোষীকে কী সাজা দেয়, সে দিকেই তাকিয়ে গোটা পরিবার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement