শনিবার পঞ্চায়েত অফিসে ওই আশাকর্মী জ্ঞান হারান বলেও অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।
বিক্ষোভ-হুমকির নানা অভিযোগ শোনা যাচ্ছিল। এ বার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (আবাস প্লাস) সমীক্ষায় যুক্ত এক আশাকর্মীকে নিগ্রহের অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে। শনিবার পঞ্চায়েত অফিসে ওই আশাকর্মী জ্ঞান হারান বলেও অভিযোগ। তৃণমূল কর্মীদের একাংশ ঘটনায় জড়িত বলে দাবি করা হলেও, শনিবার রাত পর্যন্ত পুলিশে কোনও অভিযোগ হয়নি। নিগ্রহের কথা মানতে চাননি পঞ্চায়েতের কর্তারা।
আবাস প্লাসের খসড়া তালিকায় প্রকৃত প্রাপকদেরই নাম আছে কি না, আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের দিয়ে তা সমীক্ষা করাচ্ছে প্রশাসন। শনিবার কেতুগ্রামের বেরুগ্রাম পঞ্চায়েতে একটি বৈঠকে যোগ দিতে যান ওয়াহিদা খাতুন নামে এক আশাকর্মী। তাঁর অভিযোগ, ‘‘বৈঠক শেষ হতেই অনেকে আমাকে ঘিরে ধরেন। আবাস তালিকায় নাম বাদ যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে চিৎকার শুরু করেন। বোঝানোর চেষ্টা করি, আমাদের সমীক্ষা অনুযায়ী তালিকা এখনও বেরোয়নি। কিন্তু কথা না শুনে নানা রকম হুমকি দেওয়া হতে থাকে। অসুস্থ হয়ে পড়ি।’’ স্থানীয় সূত্রের দাবি, ধাক্কাধাক্কিতে জ্ঞান হারান ওয়াহিদা। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে বাড়ি পাঠানো হয় তাঁকে। নিগ্রহে কারা জড়িত, সে বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি তিনি। পুলিশে অভিযোগের বিষয়েও সংগঠন সিদ্ধান্ত নেবে বলে দাবি তাঁর।
বিজেপির জেলা (কাটোয়া) সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘পঞ্চায়েতের ভিতরে এক আশাকর্মীকে নিগৃহীত হলেন! তৃণমূল সব সীমা পেরিয়ে যাচ্ছে!’’ নিগ্রহের ঘটনা অস্বীকার করে তৃণমূল পরিচালিত ওই পঞ্চায়েতের প্রধান মহম্মদ সাহিদুল্লার দাবি, ‘‘ওই আশাকর্মীর সমীক্ষায় পাকা বাড়ির মালিকদের নাম আছে। অথচ, কাঁচা বাড়ির মালিকদের নাম নেই। এ নিয়ে অভিযোগ হতে পারে শুনে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।’’
‘পশ্চিমবঙ্গ আশাকর্মী ইউনিয়ন’-এর জেলা নেত্রী ঝর্না পালের বক্তব্য, ‘‘নানা জায়গাতেই এমন ঘটছে। আমরা জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হব।’’ মহকুমাশাসক (কাটোয়া) অর্চনা পনধরিনাথ ওয়াংখেড়ে বলেন, ‘‘কী ঘটেছে জেনে উপযুক্ত ব্যবস্থানেওয়া হবে।’’