প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। — ফাইল চিত্র।
কলকাতায় পা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার বারাসতে জনসভা করবেন তিনি। সেই সভায় যোগ দেওয়ার জন্যই মঙ্গলবার শহরে এলেন প্রধানমন্ত্রী। সন্ধ্যাবেলা তাঁর বিমান নামে কলকাতা বিমানবন্দরে। সেখান থেকেই তাঁর কনভয় সোজা চলে যায় রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রেসিডেন্ট স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজকে দেখতেই হাসপাতালে গেলেন তিনি। তার পর সেখান থেকে রাজভবনে যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। রাতে সেখানেই থাকবেন তিনি।
লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগেই চলতি মাসে এই নিয়ে দু’বার পশ্চিমবঙ্গে এলেন প্রধানমন্ত্রী। গত শুক্রবার আরামবাগে এবং শনিবার কৃষ্ণনগরে সভা করেছিলেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, জনসভার পাশাপাশি এ রাজ্যের জন্য কয়েকশো কোটি টাকার প্রকল্পের কথাও ঘোষণা করেছিলেন মোদী। জনসভা থেকে বাংলার শাসকদলকে বিভিন্ন ইস্যুতে আক্রমণ করেছেন তিনি।
শুক্রবার আরামবাগের সভাতেও মোদীর বক্তৃতার অধিকাংশ জুড়েই ছিল সন্দেশখালি, সেখানকার মহিলাদের উপর অত্যাচার এবং সেই প্রসঙ্গে তৃণমূলের তীব্র সমালোচনা। শনিবার কৃষ্ণনগরের সভাতেও তা অব্যাহত ছিল। রাজনৈতিক মহলের অনেকের মতে, বুধবার বারাসতের সভা থেকে মোদী তাঁর আক্রমণের ঝাঁজ আরও বাড়াবেন।
ঘটনাচক্রে, বারাসত সন্দেশখালির আরও কাছে এবং একই জেলায়। বিজেপি সূত্রে খবর, সন্দেশখালির নির্যাতিতা মহিলাদের মধ্যে থেকে কয়েক জনকে মোদীর মঞ্চে নিয়ে গিয়ে হাজির করানোর। যদিও এখনও পর্যন্ত সে ব্যাপারে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। তবে বারাসতে মোদীর সভায় কিছু ‘চমক’ থাকতে পারে, তার আভাস দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
বুধবার সকালে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সকাল সওয়া ১০টা থেকে পৌনে ১১টা পর্যন্ত সেই কর্মসূচি চলবে। তার পরেই বারাসতের কাছারি ময়দানে বিজেপির নারী সম্মেলনে যোগ দেবেন মোদী। গোটা দেশে যে সভার সরাসরি সম্প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে বিজেপির মহিলা মোর্চা। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘নারী বন্ধন’ নামে কর্মসূচির সমাপ্তি অনুষ্ঠানের অঙ্গ এই সমাবেশ। এ ছাড়া বুধবারই ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর হাওড়া ময়দান থেকে ধর্মতলা অংশের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।