জাতিভিত্তিক জনগণনা নিয়ে আলোচনা সভা। অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস-এ। নিজস্ব চিত্র।
জাতিভিত্তিক জনগণনার দাবিতে এ বার আন্দোলনের মঞ্চ গড়ে তোলার প্রস্তুতি শুরু হল রাজ্যে। মূলত এনআরসি এবং এনপিআর-বিরোধী আন্দোলনের শরিক নানা মঞ্চ ও গণসংগঠনের প্রতিনিধিরা জাতিভিত্তিক জনগণনার দাবিতে একজোট হচ্ছেন। দু’দিন আগে কলকাতার অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস-এ মত বিনিময় সভাও করেছেন তাঁরা। অভীক সাহা, শরদিন্দু বিশ্বাস, প্রসেনজিৎ বসুদের যুক্তি, মণ্ডল কমিশন গঠনের পরে ৩০ বছর এবং সাচার কমিটির পরে ১৫ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। দলিত, জনজাতি, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি, মুসলিম-সহ সংখ্যালঘু এবং মহিলাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, কৃষি ইত্যাদি পরিস্থিতির বিস্তারিত সমীক্ষা চালিয়ে আর্থ-সামাজিক বিশ্লেষণের জন্য এখন জাতিভিত্তিক জনগণনা গুরুত্বপূর্ণ। নরেন্দ্র মোদীর সরকার যে ভাবে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জাতিভিত্তিক জনগণনার বিরুদ্ধে মত দিয়েছে, তার বিরোধিতা করা হয়েছে ওই সভায়। আন্দোলনকারীদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার সারা দেশে চালু না করলেও বাংলায় অনগ্রসর অংশের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকার একটি বহুজন কমিশন গঠন করুক। এনপিআর-এনআরসি’র প্রক্রিয়াকে জাতিভিত্তিক জনগণনা থেকে বিযুক্ত করার কথাও বলেছেন অভীক, প্রসেনজিতেরা। আন্দোলনের মঞ্চ গড়ার লক্ষ্যে অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসেই প্রস্তুতি-সভা ডাকা হয়েছে আগামী ১৩ নভেম্বর।