ছবি টুইটার থেকে
অতিমারির দাপট চলছে ঠিকই। তবে তার মধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং দুর্গাপুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি বা এনআইটি-তে পড়ুয়াদের ক্যাম্পাস ইন্টারভিউ দিয়ে চাকরি পাওয়ার ছবিটি বেশ উজ্জ্বল বলে ওই দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের দাবি। যাদবপুরে বার্ষিক ৫৮ লক্ষ এবং এনআইটি-তে বার্ষিক ৪৪ লক্ষ টাকা প্যাকেজের চাকরি পেয়েছেন বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী।
এ বছর যাঁরা পাশ করলেন এবং আগামী বছর যাঁরা পাশ করবেন— করোনার কারণে এই দু’বছরের ছাত্রছাত্রীদের ক্যাম্পাসিং চলছে অনলাইনে। যাদবপুরের প্লেসমেন্ট বিভাগের আধিকারিক শমিতা ভট্টাচার্য বৃহস্পতিবার জানান, চলতি বছরে যাঁরা পাশ করেছেন, তাঁদের মধ্যে তিন জন ৫৮ লক্ষ টাকার বার্ষিক প্যাকেজের চাকরি পেয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার একটি প্রযুক্তি সংস্থা তাদের ভারতের অফিসের জন্য কম্পিউটার সায়েন্স, ইনফর্মেশন টেকনোলজি এবং ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের ওই তিন পড়ুয়াকে বাছাই করেছে।
যাঁরা আগামী বছর পাশ করবেন, তাঁদের ক্যাম্পাসিং সবে শুরু হয়েছে। মাত্র ন’দিনের মধ্যেই তাঁদের মধ্যে ৪৬ জন ৩০ লক্ষ টাকার বেশি বার্ষিক প্যাকেজের চাকরি পেয়ে গিয়েছেন বলে জানান শমিতাদেবী। ৩২ জন পেয়েছেন ১৮ থেকে ৩০ লক্ষ টাকার বার্ষিক প্যাকেজের চাকরি। শমিতাদেবী জানান, বড় সংস্থা এখনও সব আসেনি। তবে তারা আসবে বলে জানিয়েছে। গত বার করোনার দরুন উৎপাদক সংস্থা কম এলেও এ বার তাদের অনেকেই আসছে। তিনি বলেন, ‘‘সব বিভাগের পড়ুয়ারা যাতে চাকরি পান, প্রতি বারেই সেই চেষ্টা করা হয়। গত বারেও করোনা আবহে পড়ুয়াদের ৭৫ শতাংশ ক্যাম্পাস ইন্টারভিউয়ে চাকরি পেয়েছিলেন। যাঁরা পাননি, তাঁরা এ বার ইন্টারভিউ দিচ্ছেন।’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন, ‘‘অতিমারির এই সময়ে অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়ুয়ারা লেখাপড়া করছেন। বিভিন্ন নামী সংস্থা তাঁদের যোগ্য মনে করে বেছে নিচ্ছে— বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের কাছেই এটা গর্বের বিষয়।’’
এনআইটি দুর্গাপুরের প্লেসমেন্টের ছবিও অত্যন্ত ভাল বলে জানিয়েছেন সেখানকার কেরিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের আহ্বায়ক এবং ফ্যাকাল্টি কো-অর্ডিনেটর তাপসকুমার সাহা। তিনি জানান, ২২ দিন ধরে অনলাইনে ইন্টারভিউ চলছে। এ-পর্যন্ত ১৯ জন পড়ুয়া ৪৪ লক্ষ টাকার বার্ষিক প্যাকেজের চাকরি পেয়েছেন। একটি আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সংস্থা একসঙ্গে ওই ১৯ জনকে নিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৭ জন কম্পিউটর সায়েন্সের এবং দু’জন ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পড়ুয়া। বিশ্বখ্যাত আরও তিনটি সংস্থায় ১৬ লক্ষ থেকে ৩০ লক্ষ টাকার বার্ষিক প্যাকেজের চাকরি পেয়েছেন ৩১ জন পড়ুয়া। আরও বহু সংস্থা আসছে এবং পড়ুয়াদের বাছাই করে নিচ্ছে।
‘‘করোনা-কালে বিশ্বের অন্যতম সেরা সংস্থাগুলি আমাদের ছাত্রছাত্রীদের বেছে নিচ্ছে। এতেই আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উৎকর্ষ বোঝা যায়,’’ বললেন এনআইটি দুর্গাপুরের অধিকর্তা অনুপম বসু।