Tathagata Roy

Tathagata Roy: বিজেপি-র নিচু তলায় কাজ করেন পিকে-র মাইনে করা লোক! তথাগতের টুইটে ফের বিতর্ক

নীলবাড়ির লড়াইয়ে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখিয়ে আসছেন তথাগত। তাঁর মন্তব্যে অস্বস্তিতে পদ্মশিবির।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২১ ১২:৩৭
Share:

তথাগত রায়ের টুইটে ফের বিতর্ক গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

ফের টুইট-বোমা তথাগত রায়ের। এ বার বিজেপি-র এক কর্মীর কথা উদ্ধৃত করে মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বিজেপি নেতা তথাগতর দাবি, বিজেপি-র অন্দরে কাজ করেন পিকে-র মাইনে করা লোক। মঙ্গলবার পর পর দু’টি টুইট করেন তথাগত।

Advertisement

প্রথম টুইটে তথাগত লিখছেন, ‘এক জন একনিষ্ঠ বিজেপি সমর্থকের কাছ থেকে পাওয়া। ‘স্যার আপনি আমার কথা বিশ্বাস করবেন কি না জানি না, আমাদের আমাদের পাশের গ্রামে এক জন আমাকে বলছিল ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে পিকে-র টিম থেকে অনেকেই ফোন করছিল। আমাদের এখানকার এক জন শিক্ষিত যুবককে ফোন করেছিল...’।’

পরের টুইট বলছে, ‘তাকে ফোন করে বলছিল ১৩ হাজার টাকা করে মাইনে দেবে বিজেপি-তে যোগ দিয়ে তৃণমূলের হয়ে কাজ করার জন্য। তাই আমার মনে হয়, বিজেপি-তে এখনও নীচের তলায় এ রকম অনেক পিকে-র মাইনে দেওয়া কর্মী আছে। যত দিন না এদের চিহ্নিত করা যাবে, বিজেপি-কে জেতানো অসম্ভব’।’

Advertisement

নীলবাড়ির লড়াইয়ে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ দেখিয়ে আসছেন তথাগত। তাঁর নিশানায় দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ এবং অরবিন্দ মেনন। যা নিয়ে বার বার অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। বিজেপি-র এই কোন্দল সম্প্রতি তীব্র হয় তথাগতকে নিয়ে দিলীপের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে। দিলীপ মন্তব্য করেন, তথাগত চাইলে দল ছাড়তে পারেন। তার পরই ফের দলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন তথাগত। তিনি বলেছিলেন, তিনি নিজে দল ছাড়ছেন না। তবে দল ছাড়লে অনেক গুপ্তকথাই ফাঁস করে দিতে পারেন।

সে সময় তথাগত টুইটে লেখেন, ‘গতকাল থেকে ফোনে ফোনে জর্জরিত হয়ে গেলাম। সকলকে আশ্বস্ত করছি এই বলে যে, আমি স্বেচ্ছায় দল ছাড়ছি না। আমি আপাতত এখন সাধারণ সদস্য। এই অবস্থাতেই যাত্রার বিবেকের ভূমিকা পালন করে যাব।’ তিনি আরও লেখেন, ‘দল ছাড়তে পারলে সব গুপ্তকথাই ফাঁস করতে পারতাম, কিন্তু এখনই তা হচ্ছে না।’ অর্থাৎ তিনি দল ছাড়লে দল দলীয় নেতৃত্বের অনেক গোপন কথাই জনসমক্ষে নিয়ে আসতেন। যে হেতু তিনি এখন দল ছাড়ছেন না, তাই সে সম্ভাবনা এখন নেই। তবে ‘গুপ্তকথা ফাঁস’ নিয়ে তাঁর এই মন্তব্যই অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য বিজেপি-র নেতৃত্বের জন্য। মঙ্গলবারের টুইট তেমনই ‘গুপ্তকথা’ কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement