প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে যাত্রাপথে আটকে পশ্চিম মেদিনীপুরের ১০ জন।
শনিবারই অমরনাথ দর্শনের কথা ছিল। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে যাত্রাপথে আটকে পশ্চিম মেদিনীপুরের ১০ জন। মোবাইলে চার্জ নেই। কোনও মতে নেটমাধ্যমে লাইভ করে পরিবারকে জানালেন, ‘‘আমরা সুরক্ষিত রয়েছি।’’ অন্য দিকে, অমরনাথ দর্শন সেরে শনিবার নিরাপদে ঘরে ফিরে এসেছেন এই জেলার এক পুণ্যার্থী। আরও দু’জন ফেরার পথে।
যাত্রাপথে আটকে পড়া ১০ পুণ্যার্থীর মধ্যে ন’জন কেশিয়াড়ি এবং এক জন দাঁতনের বাসিন্দা। অমরনাথে শিবলিঙ্গ দর্শনের জন্য বৃহস্পতিবার চন্দনওয়াড়ি থেকে রওনা দেন সৃজন ঘোষ, দুলাল দাস, বিষ্ণুপদ সাহুরা। প্রায় ১০ ঘণ্টা হাঁটার পর শেষনাগে পৌঁছন। সেখানেই সেনা ছাওনিতে রাত কাটিয়ে দেন। তার মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যাবেলা গুহার কাছে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি।
ওই দলটির শনিবার পৌঁছনোর কথা ছিল অমরনাথ। কিন্তু অনুমোদন দেয়নি সেনা। পঞ্চতরণীতে সেনার ছাওনিতেই এখন রয়েছেন ওই ১০ জন। প্রচণ্ড ঠান্ডা। দু’দিন ধরে লঙ্গরের খাবার খাচ্ছেন। একে একে মোবাইলের চার্জ শেষ হয়ে যাচ্ছে। কোনও মতে এক পুণ্যার্থীর মোবাইল থেকে লাইভ করলেন বাকিরা। সেখানে পরিবারের সদস্যদের বললেন, ‘‘চিন্তা করো না। মহাদেবের কাছে প্রার্থনা করো, যাতে দর্শন সেরে নিরাপদে ফিরে আসতে পারি।’’
অন্য দিকে, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে কত জন অমরনাথ যাত্রায় গিয়েছিলেন, কেউ বিপদে পড়েছেন কি না, খোঁজ নিতে শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক আয়েশা রানি বলেন, ‘‘আটকে পড়াদের মধ্যে কেশিয়াড়ির ন’জন, দাঁতনের এক জন রয়েছে। ওই দলের এক জনের সঙ্গে কথা হয়েছে। সকলেই সুস্থ রয়েছেন, কারও কোনও সমস্যা নেই। আর কেউ আটকে রয়েছেন কি না মহকুমাশাসক, পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনকে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে।’’