পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা সুকান্ত মজুমদার এবং অধীর চৌধুরীর দলের। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে প্রায় একই দাবিতে বিজেপি এবং কংগ্রেস কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করল। শুক্রবার বিজেপির আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী এবং কংগ্রেসের আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিজেপি এবং কংগ্রেসের তরফে জনস্বার্থ মামলা করতে চেয়ে আবেদন জানানো হয়। সেই অনুমতি দিয়েছে আদালত। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে শ্রীজীব এবং কৌস্তভের দ্রুত শুনানির আর্জিও মঞ্জুর করেন প্রধান বিচারপতি। শুক্রবারেই দুপুরে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি শুরু হয়েছে।
মূলত ৫টি দাবি নিয়ে আবেদনকারীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন—
১. মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য অত্যন্ত কম সময় দেওয়া হয়েছে। মোট নির্বাচনী ক্ষেত্র দেখলে প্রতি কেন্দ্রে মনোনয়নের জন্য ৩৯ সেকেন্ড সময় বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রশ্ন, এই সময়ের মধ্যে এত প্রার্থী কী ভাবে মনোনয়ন জমা দেবেন?
২. নির্বাচন ঘোষণার আগে কোনও সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী, যা এত দিন হয়ে এসেছে। বৈঠক না ডেকেই তড়িঘড়ি নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে।
৩. ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের উদাহরণ দিয়ে আবেদনকারীদের যুক্তি, সে সময় প্রচুর আসনে মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি প্রার্থীরা। ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, তা নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
৪. সুষ্ঠু এবং অবাধ ভোটের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক। সব বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর জন্যও আবেদনকারীরা আর্জি জানিয়েছেন। তাঁদের যুক্তি, নির্বিঘ্নে এক দফায় গোটা রাজ্যে ভোট করাতে হলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশনার রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা রেখেছেন। অথচ অতীতে এ রাজ্যে সুষ্ঠু পঞ্চায়েত ভোট করাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল।
৫. জেলার নির্বাচন পরিচালনার কেন্দ্রীয় অফিসে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় অফিস ছাড়াও অন্যত্র এই ব্যবস্থা করা হোক। মনোনয়ন জমা দিতে সমস্যা হলে জেলা বিচারক বা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক।