জল চুরির অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে চাইছে দফতর। সরকারি পাইপ থেকে জল টেনে নেওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৮৪ (ধারা ৩) প্রয়োগ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
হোয়াটস্অ্যাপেই জানানো যাবে জল চুরির অভিযোগ। প্রতীকী ছবি
গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা! তার মধ্যেই জলের হাহাকার শুরু হয়েছে গ্রামীণ এলাকাগুলিতে। পানীয় জলের পাউচ ও জলের গাড়ি পাঠিয়ে সেই ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। তারই মধ্যে বেশ কিছু জেলায় জল চুরির অভিযোগ এসেছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কাছে। এমন কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলায় সাধারণ মানুষকে সাহায্য করার লক্ষ্যে দু’টি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করছে দফতর। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই দু’টি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে যেমন জল চুরি সংক্রান্ত অভিযোগ করা যাবে, তেমনই জলের অপচয় সংক্রান্ত খবরও দেওয়া যাবে। শুধু তাই নয়, এই নম্বরে অভিযোগ জানালে বাড়ি বাড়ি জলসংযোগের ব্যবস্থায় কোনও সমস্যা হলে, সে বিষয়েও অভিযোগ জানানো যাবে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের দ্বারা চালু করা হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দু’টি হল ৮৯০২০২২২২২ এবং ৮৯০২০৬৬৬৬৬। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই গ্রামীণ এলাকায় দফতরের তরফে এই নম্বরগুলি জানিয়ে লিফলেট বিলি করা হবে।
দফতরের দাবি, গ্রামীণ এলাকার মানুষের কাছে এই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরগুলি পৌঁছে দেওয়া গেলে, জল চুরি বা জলের অভাব সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগ সহজেই আধিকারিকদের নজরে আসবে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আশ্বাস, হোয়াটসঅ্যাপে অভিযোগ এলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজ্যের যে সব এলাকায় নলবাহিত পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিয়েছে দফতর, সেই সব জায়গা থেকেই জল চুরির অভিযোগ আসছে বেশি পরিমাণে। কোথাও আবার পানীয় জলের পাইপ লাইন ভেঙে অবৈধ সংযোগ, আবার কোথাও দফতরের জলাধার থেকে পাম্প চালিয়ে জল টেনে নেওয়ার মতো একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জেলার অফিসগুলিতে। আর এমন সব অভিযোগের জেরে তীব্র দাবদাহে জলকষ্টের সম্মুখীন হতে বাধ্য হচ্ছেন গ্রামীণ এলাকার সাধারণ মানুষ।
জল চুরির অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে চাইছে দফতর। সরকারি পাইপ থেকে জল টেনে নেওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৮৪ (ধারা ৩) প্রয়োগ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।