রাজভবন থেকে সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠায় পরিষদীয় দফতর। সেই অনুমতি পেলে পরিষদীয় দফতর তা বিধানসভার সচিবালয়কে জানায়। সেই মতো শপথের আয়োজন করে বিধানসভার সচিবালয়। তবে এ ক্ষেত্রে এখনও সবুজ সঙ্কেত না মেলায় বাবুলের শপথগ্রহণ ঝুলে রয়েছে।
ফাইল চিত্র।
বিধায়ক পদে বাবুল সুপ্রিয়ের শপথগ্রহণ ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়েছে। গত ১৬ এপ্রিল বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনের জয়ী হন তিনি। তার পর প্রায় ১০ দিন কেটে গেলেও এখনও হয়নি বিধায়ক পদে তাঁর শপথগ্রহণ। সূত্রের খবর, এই বিষয়টি নিয়ে রাজভবনের সঙ্গে ফের সঙ্ঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে নবান্নের।
জানা গিয়েছে, বাবুলের শপথগ্রহণ সংক্রান্ত ফাইলটি রাজভবনে পাঠিয়েছিল পরিষদীয় দফতর। সূত্রের খবর, ফাইলটি প্রসঙ্গে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে তা পরিষদীয় দফতরের কাছে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে রাজভবন। মঙ্গলবার ফাইলটি যায় নবান্নের এক শীর্ষ কর্তার টেবিলে। সেই সংক্রান্ত প্রশ্নের সুস্পষ্ট জবাব পাওয়ার পর শপথগ্রহণের ফাইলটিতে অনুমোদন দেবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, এমনটাই সূত্রের খবর। রাজভবনের মনোভাবে নবান্ন রুষ্ট বলেও জানা গিয়েছে।
উপনির্বাচনে জয়ের পরেই গায়ক-রাজনীতিকের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পদ্ধতিগত প্রক্রিয়া শুরু হয়। নিয়মানুযায়ী, কোনও রাজ্যের লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থীরা জয়ী হলে, সংশ্লিষ্ট রাজ্যের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিইও তা জানিয়ে দেন লোকসভা বা সংশ্লিষ্ট বিধানসভাকে। লোকসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে এর পর কেন্দ্রীয় সচিবালয় মন্ত্রককে চিঠি দিয়ে শপথগ্রহণের দিন ক্ষণ ঠিক করতে বলে।মন্ত্রক চিঠি দিলে তবেই শপথগ্রহণের আয়োজন করে লোকসভার সচিবালয়। বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত সিইও জানান সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিধানসভাকে। তার পর বিধানসভা কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়ে পরিষদীয় দফতরকে শপথের দিন ক্ষণ জানাতে বলেন। রাজভবন থেকে সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠায় পরিষদীয় দফতর। সেই অনুমতি পেলে পরিষদীয় দফতর তা বিধানসভার সচিবালয়কে জানায়। সেই মতো শপথের আয়োজন করে বিধানসভার সচিবালয়। তবে এ ক্ষেত্রে এখনও সবুজ সঙ্কেত না মেলায় বাবুলের শপথগ্রহণ ঝুলে রয়েছে।