ছবি: সংগৃহীত।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে নিয়ে পিএইচডি করলেন বর্ধমানের কালনার এক কৃষকের ছেলে। তবে সেখানেই থেমে থাকেননি রেজাউল ইসলাম মোল্লা। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁর গবেষণার থিসিস পেপার মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দিতেও চান তিনি। পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গ-সহ সারা দেশের মানুষের কাছে তা সবিস্তার তুলে ধরার বিষয়েও উদ্যোগী হয়েছেন রেজাউল। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর গবেষণার বিষয়বস্তু শাসক দলকে খানিকটা ‘মাইলেজ’ দিতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক শিবিরের একাংশ।
পূর্ব বর্ধমানের কালনার হাতিপোতা গ্রামের এক নিম্নবিত্ত কৃষক পরিবারের কৃতি সন্তান রেজাউল। তাঁর কথায়, “ছাত্রাবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিভিন্ন আন্দোলন দেখেই সিদ্ধান্ত নিই ‘লিডারশিপ’ নিয়ে যদি রিসার্চ করি, তবে তৃণমূলনেত্রীকে নিয়েই কবর।”
রেজাউলের দাবি, গবেষণার প্রয়োজনে ভারতের অন্য সব মহিলা নেত্রীদের বিষয়েও বিস্তর খোঁজখবর করেছি। কিন্তু সব কিছু যাচাই করে মনে হয়েছিল, জননেত্রী হিসেবে মমতা সকলের থেকে আলাদা।” এই বিষয়টিও তথ্য-সহ নিজের গবেষণায় তুলে ধরেছেন রেজাউল। তিনি জানান, সাড়ে পাঁচ বছর ধরে গবেষণা কাজ চালিয়ে তাঁর মনে হয়েছে, সাধারণ মানুষের স্বার্থে তৃণমূলনেত্রীর যে চিন্তা-ভাবনা রয়েছে, তা অন্য নেতা-নেত্রীর মধ্যে দেখা যায় না।
২১ ডিসেম্বর ইউজিসি-র থেকে ফেলোশিপও পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন রেজাউল। তাঁর রিসার্চ পেপার মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়ার পাশাপাশি গবেষণার বিষয়বস্তু বাংলায় এবং ইংরেজিতে বই আকারে প্রকাশ করারও ইচ্ছে রয়েছে।
রাজ্যের মন্ত্রী তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি স্বপন দেবনাথ এ নিয়েবলেন, “রেজউল আমার এলাকারই ছেলে। ওঁর জন্য আমি আনন্দিত এবং গর্বিতও বটে।” রেজাউলের বাবা শাহনওয়াজ মোল্লা বলেন, “রেজাউল মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে রিসার্চ সম্পূর্ণ করেছে জেনে খুশি।”