ভাবমূর্তিতেই টিকিট পুরভোটে, কলকাতায় বার্তা দিল তৃণমূল

অভিষেকের কথায়, দাদা বা নেতাদের ঘনিষ্ঠতায় এবার দলের টিকিট পাওয়া যাবে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:৩৩
Share:

যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

আসন্ন পুরভোটে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কাউন্সিলরদের ব্যক্তিগত ভাবমূর্তিই বড় মাপকাঠি। শুক্রবার কলকাতার দলীয় কাউন্সিলরদের বৈঠকে এ কথা জানিয়ে দিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই সঙ্গেই যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, ‘গায়ের জোরে’ কেউ যেন জেতার না চেষ্টা করেন। কারণ তাতে ব্যক্তিস্বার্থ রক্ষা হলেও দলের বিড়ম্বনা বাড়ে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেরই ধারণা, পঞ্চায়েত ভোটে ‘গায়ের জোর’ ফলানোর যে মাশুল লোকসভা ভোটে দলকে দিতে হয়েছে তা থেকে ‘শিক্ষা’ গ্রহণ করে পুরভোট লড়তে চাইছে তৃণমূল।

Advertisement

প্রার্থীর ভাবমূর্তি সম্পর্কে দল সন্তুষ্ট না হলে যে টিকিট মিলবে না সে কথা স্পষ্ট করে এদিন বৈঠকে আরও বলা হয়, বিধানসভার সাম্প্রতিক তিনটি উপনির্বাচনে ‘দাদা ধরে প্রার্থী বাছাই হয়নি। তার ফল সকলেই দেখেছেন। অভিষেকের কথায়, দাদা বা নেতাদের ঘনিষ্ঠতায় এবার দলের টিকিট পাওয়া যাবে না। দলের জনপ্রতিনিধিদের ভাবমূর্তি নিয়ে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় বৈঠকে ‘কাটমানি’ প্রসঙ্গ তুলে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন দলের সব স্তরে। এবার পুরভোটের আগে মনোনয়নের ক্ষেত্রে নেত্রীর সেই মনোভাবই কার্যকর করতে চলেছে তৃণমূল।

এদিনের বৈঠকে প্রশান্ত জানিয়ে দেন, কাউন্সিলরের দায়িত্ব আর প্রোমোটারি-ঠিকাদারির কাজ একসঙ্গে করতে দেওয়া হবে না। যে কোনও একটা বেছে নিতে হবে। কাউন্সিলরের নিজের লোককে বুথ সভাপতি করা যাবে না। তাঁরা প্রস্তাব দিতে পারেন। সিদ্ধান্ত নেবে দল। সেই সঙ্গে মিছিল-মিটিংয়ের বক্তব্যে ধর্মীয় বিভাজন সংক্রান্ত কোনও কথা বলা যাবে না। সেই সঙ্গে বিধায়কদের মতো কাউন্সিলরদের জনসংযোগ কর্মসূচি ‘দিদিকে বলো’র মূল্যায়ন শুরু করেছে তৃণমূল। শুক্রবার কলকাতার দলীয় কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন দলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী ছাড়াও এই বৈঠকে ছিলেন যুব তৃণমূলের সভাপতি।

Advertisement

দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর সেই শুদ্ধকরণের বার্তা সামনে আসার বহু অভিযোগ জমা পড়েছে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের নামে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধিকে ‘খেসারত’ দিতে হয়েছে। আর যাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এবারের নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তা বিবেচনায় রাখা হবে বলে মনে করছেন দলীয় নেতৃত্বের একাংশ। এদিনের বৈঠকেও কাউন্সিলরদের বৈভব প্রদর্শনে নিষেধ করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement