ফাইল চিত্র
গত তিন দিন ধরে শিলিগুড়ির বাজারেও ঢুকছে বাংলাদেশের ইলিশ। কিন্তু দাম আকাশছোঁয়া। ব্যবসায়ীদের দাবি, ডায়মন্ডহারবারের ইলিশের সাইজ গত কয়েকদিন ধরে ছোট আসছিল। এই সপ্তাহে তাও মেলেনি। আমদানিও কম। তাই মহার্ঘ্য বাংলার ইলিশ যেমন খুচরো বাজারে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি হচ্ছে। সাইজ ছোট হলেও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ইলিশের দর ৮০০-র নীচে নামছে না।
রবিবারের বাজারে ইলিশ কিনবেন বলে সুভাষপল্লি বাজার গিয়েও ঘুরে এসেছেন স্থানীয় ছোট ব্যবসায়ী বাবলা তালুকদার। ইলিশের দাম শুনে হাত ছোঁয়াতে পারেননি। তাঁর কথায়, ‘‘দু’হাজার টাকা অতিরিক্ত। ১২০০-১৪০০ পর্যন্ত চলে।’’ ইলিশের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার করোনার জন্য ব্যবসা এখনও ৩০ শতাংশে দাঁডিয়ে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে মাছের যোগান যেমন কমেছে, সাইজেও ছোট আসছে। তাই স্বাভাবিকভাবে দাম মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। তাই বাংলাদেশের ইলিশ প্রথম থেকেই বেশি দরে বিকিয়েছে শিলিগুডির বাজারে।
শিলিগুডি নিয়ন্ত্রিত বাজারের মাছ ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, গত তিন দিন হল শিলিগুডিতে বাংলাদেশের ইলিশ পেট্রাপোল হয়ে ঢুকছে। সেগুলি সবই এক কেজি থেকে দেড় কেজি সাইজের। ১৩০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। ফলে সেগুলি বাজারে গেলে দর কম করে ১৮০০ থেকে দু’হাজার হচ্ছে। মাছ ব্যবসায়ীদের সংগঠনের নেতা বাপি চৌধুরী বলেন, ‘‘বাজার খারাপ রয়েছে। সরকারি অনুমোদন নিয়ে বাংলাদেশের যে ইলিশ আসছে, তাও তুলনায় কম।’’ ব্যবসায়ীরা জানান, এমনি সময়ে শিলিগুড়িতে অন্তত ১০ টন ইলিশের চাহিদা ছিল লকডাউনের আগে পর্যন্ত। কিন্তু তা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আগে অসম থেকেও পাইকাররা এসে শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজার থেকেই ইলিশ কিনে নিয়ে যেতেন। তাই দর নামছে না।
এনজেপির গেট বাজারের খুচরো মাছ ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ ভৌমিক বলেন, ‘‘গত সপ্তাহে ডায়মন্ড হারবারের ইলিশ পেয়েছিলাম। ইলিশ সাইজ অনুসারে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করে। কিন্তু গ্রাহক ধরতে একটু কমে ছাড়তে হচ্ছে।’’ শিলিগুডির নিয়ন্ত্রিত বাজারে বাংলাদেশ এবং ডায়মন্ড হারবার মিলিয়ে এখন রোজ প্রায় ৩ টন ইলিশ মাছ আসছে। বাংলাদেশের ইলিশের গ্রাহক আলাদা। কিন্তু রবিবার বাজারে অনেকেই কিছুটা কমে বাংলাদেশের ইলিশের স্বাদ নেবে বলে ঠিক করেছিল। তা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয়নি। ডায়মন্ড হারবারের ইলিশ না মেলায় এদিন মনখারাপ মধ্যবিত্তের।