পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে বিজেপি প্রার্থীর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার দৃশ্য। —নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পর্ব মিটেছে মঙ্গলবার। তখন থেকেই জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে দলবদল। এমনকি, দুবরাজপুরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়া বিজেপি প্রার্থীও তুলে নিয়েছেন তৃণমূলের পতাকা। সেই পালা চলছে। আবার সেই দুবরাজপুরেই তৃণমূল হয়ে বিজেপি এবং তার পর আবার তৃণমূলে ফিরল অন্তত ৫০টি পরিবার। অন্য দিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়েও এক বিজেপি প্রার্থী যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে।
মঙ্গলবার বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের পদুমা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ১৭ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি প্রার্থী লক্ষ্মী মুর্মু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন। কিন্তু কিছু ক্ষণের মধ্যেই তিনি যোগ দেন তৃণমূলে। ওই দিন সন্ধ্যাতেই দুবরাজপুর বিধানসভা এলাকার লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলবুনী গ্রামে যে পঞ্চাশটি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করে তারা আবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আবার তৃণমূলে ফিরে এসেছে। মঙ্গলবার ওই ৫০টি পরিবারের সদস্যদের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন দুবরাজপুরের বিধায়ক অনুপ সাহা। তার পর এক দিনও কাটেনি। বুধবার ওই পরিবারের সদস্যেরা জানিয়েছেন তাঁরা পুনরায় তৃণমূলে যোগদান করেছেন। তাঁদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন দুবরাজপুর ব্লকের তৃণমূলের যুগ্ম আহ্বায়ক রফিউল খান। তৃণমূলের দাবি, ভুল বুঝিয়ে ওই পরিবারগুলোকে নিজেদের দলে টেনেছিল বিজেপি। ভুল বুঝতে পেরে সকলে আবার তৃণমূলে ফিরে এসেছে।
বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়-১ অঞ্চলের ১১৮ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ভূঁইঞা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন নারায়ণগড়ের তৃণমূল বিধায়ক সূর্যকান্ত অট্ট। তবে ওই বিজেপি প্রার্থীর তৃণমূলের যোগদানকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপান-উতোর শুরু হয়েছে। যদিও তৃণমূলে যোগদানকারী ওই বিজেপি প্রার্থী পরিষ্কার জানিয়ে দেন, তিনি নিজের ইচ্ছায় তৃণমূলে এসেছেন।