নমুনা পরীক্ষা করতে এসে নিজেই সংগ্রহ করতে হচ্ছে নিজের লালারসের নমুনা। —নিজস্ব চিত্র।
করোনার জেরে কর্মী সঙ্কট রাজ্যের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। তাই সাধারণ মানুষকে নিজেকেই সংগ্রহ করতে হচ্ছে নিজের লালারসের নমুনা। এমনই ছবি ধরা পড়ল জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে করোনার কোপ। অতিমারির গ্রাসে সেখানকার মোট ২৯ জন কর্মী। তার মধ্যে রয়েছেন সুপার এবং সহকারী সুপারও। তার ধাক্কা লেগেছে দৈনন্দিন কাজকর্মেও। শনিবার ধরা পড়ল সেই ছবি। করোনা পরীক্ষার জন্য আসা একাধিক রোগীকে দেখা গেল নিজেই নিজের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করতে। এমনকি গোটা প্রক্রিয়া দেখভালের জন্যও হাসপাতালের কোনও কর্মীর দেখা মেলেনি। পরীক্ষা করাতে যাঁরে এসেছিলেন তাঁদের অনেকেরই অভিযোগ, রাজ্য সরকার কোভিড মোকাবিলা জন্য সমস্ত রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করার আশ্বাস দিলেও, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেই এমন ‘ভয়াবহ’ ছবি ধরা পড়েছে।
বিষয়টি মেনে নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। হাসপাতালের সহকারী সুপার সৌরভ দাস বলেন, ‘‘আমাদের হাসপাতালের অধিকাংশ কর্মী এবং নার্স কোভিড আক্রান্ত। ফলে চিকিৎসা পরিষেবায় ধাক্কা লেগেছে। আমি নিজেও কোভিড আক্রান্ত। তাই সাধারণ মানুষকে নিজেকেই লালারসের নমুনা সংগ্রহ করতে হচ্ছে। এই সমস্যার খুব তাড়াতাড়ি সমাধান হবে।’’ করোনার জেরে জঙ্গিপুর এবং সামশেরগঞ্জ কেন্দ্রের দুই প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে। পিছিয়ে গিয়েছে সেখানকার ভোটও। বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও। এর উপর হাসপাতাল কর্মীরাও আক্রান্ত হতে শুরু করায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।