ফাইল চিত্র।
ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে (আইএসএফ) নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যে জট আরও পাকাল। ফুরফুরা শরিফে গিয়ে রবিবার আইএসএফের প্রধান পৃষ্ঠপোষক আব্বাস সিদ্দিকী এবং চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক নওসাদউদ্দিন সিদ্দিকীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা আব্দুল মান্নান। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী জোট নিয়ে নতুন কোনও নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কংগ্রেস এবং আইএসএফ, দু’পক্ষই সংযুক্ত মোর্চার শরিক বলে দাবি করেছিলেন মান্নান। কিন্তু সোমবার দলের মুর্শিদাবাদ জেলা কার্যালয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ফের বলেছেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে সিপিএম তথা বামফ্রন্টের জোট হয়েছিল, আইএসএফের সঙ্গে নয়। তাই তারা মুর্শিদাবাদ, মালদহে বিধানসভা ভোটে প্রার্থী দিয়েছিল। আমার সঙ্গে ওই দলের কোনও নেতার ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। কিন্তু তারা প্রার্থী দিয়ে আমাদের হারানোর কথা বলে গিয়েছিল।’’
তবে তাঁর কাছে দিল্লি থেকে আইএসএফের বিষয়ে কোনও নির্দেশ আসেনি বলেও জানিয়েছেন অধীরবাবু। তাঁর তির্যক মন্তব্য, ‘‘কংগ্রেসের বিরোধিতা করলেও তাদের সঙ্গে জোট করার ব্যাপারে সভাপতি হিসাবে আমার কাছে দিল্লির কোনও নির্দেশ নেই। তবে দিল্লির সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে আমার থেকে অনেকের অনেক বেশি চেনা-জানা আছে, তাঁদের কাছে হয়তো কোনও নির্দেশ এসেছে!’’ তাঁর কাছে সেই নির্দেশ এলে তিনি তার বিরোধিতা করবেন বলে জানিয়েও অধীরবাবুর অবশ্য মত, বিধানসভায় সর্বদল বৈঠকে আইএসএফ ডাক পাওয়ার যোগ্য। কংগ্রেসের একাংশের মতে, জাল প্রতিষেধক-কাণ্ডের মতো বিষয়ে আন্দোলনের বদলে জোট-তরজাতেই দলের সময় নষ্ট হচ্ছে।