অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় অসুস্থ। জেলে বন্দিদশায় তাঁর চিকিৎসা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু সুস্থ হতে তাঁর আরও উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন অর্পিতা। মঙ্গলবার সে কথাই তিনি সরাসরি জানান আদালতে। অর্পিতার আর্জি শুনে বিচারক জেল কর্তৃপক্ষকে বলেছেন, তাঁরা যেন নিজেদের দায়িত্বের কথা ভুলে না যান।
মঙ্গলবার প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত ইডির মামলার শুনানি ছিল বিচার ভবনে। এই মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য অভিযুক্তদের হাজিরা ছিল আদালতে। তবে অর্পিতা সশরীরে বিচার ভবনে আসেননি। বিচারকের সঙ্গে তাঁর কথা হয় ভার্চুয়াল মাধ্যমে। আদালতে উপস্থিত থেকে তাঁর হয়ে সওয়াল করেন অর্পিতার আইনজীবী নীলাদ্রি ভট্টাচার্য। তিনিই মঙ্গলবার বিচারককে জানান, অর্পিতার চিকিৎসার জন্য তাঁকে কোনও ভাল বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া দরকার। একান্তই তা সম্ভব না হলে, কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে থাকা কম্যান্ড হাসপাতালেও আপত্তি নেই তাঁদের। সেখানেও চিকিৎসা করালে চলবে।
অর্পিতার অসুস্থতা নিয়ে অবশ্য মঙ্গলবার আদালতে বিশদে আলোচনা করেননি তাঁর আইনজীবী। তবে জানিয়েছেন, জেলে যে চিকিৎসক অর্পিতাকে দেখেছেন, তিনিই বলেছেন অর্পিতার এক্সরে এবং স্ক্যানের প্রয়োজন আছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সেই পরীক্ষা করাতে হবে। আদালতে নীলাদ্রি আবেদন করেন অর্পিতার যেন সুচিকিৎসা হয়। এই আবেদনের পরই জেল কর্তৃপক্ষকে তাঁদের দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দেন বিচারক।
বিচার ভবনের হাজির ছিলেন জেল কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি। তাঁকেই বিচারক বলেন, ‘‘আপনাদের উদ্যোগ নিয়ে যেন কোনও সন্দেহের অবকাশ না থাকে। উনি যেন বুঝতে পারেন যে সুচিকিৎসা হচ্ছে। জেলে আপনারা ওঁর অবিভাবক। আপনারা তো শুনেছি চিকিৎসার জন্য তো এসএসকেএমে পাঠান। আমাদের রাজ্যের বেস্ট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল।’’
মঙ্গলবার নিজের অসুস্থতার কথা বিচারককে জানিয়েছেন অর্পিতাও। তাঁর কথা শোনার পর অবশ্য বিচারক তাঁকেও আশ্বস্ত করেছেন। বিচারক বলেন, জেল কোড অনুযায়ী আপনি এখন জেল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে রয়েছেন। ওখানে যে চিকিৎসা সম্ভব হবে সেটা জেনে নেবেন। আপনার কিছু হলে ওঁরাই দায়ী হবেন। জেল কোড মেনেই ওঁদের এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর পর আবার জেল কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে বিচারক বলেন, ‘‘দয়া করে দেখুন, ওঁর চিকিৎসা যেন দ্রুত হয়।’’