ফাইল চিত্র।
এসএসসি-র পর এ বার টেট ‘দুর্নীতি’তেও রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী (বর্তমান শিল্পমন্ত্রী) পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়াতে পারে? ইডির সিজার লিস্ট থেকে মিলল তেমনই ইঙ্গিত।
ইডি সূত্রের খবর, মন্ত্রীর বাড়ি থেকে ২০১২ সালে টেট উত্তীর্ণদের সংশোধিত তালিকার নথি পাওয়া গিয়েছে। পার্থর বাড়ির ‘সিজার লিস্টে’র ১৫ নম্বরে এ কথা উল্লেখ করেছে ইডি। পাওয়া গিয়েছে এসএসসি-র শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত নথিও। সূত্রের দাবি, মন্ত্রীর বাড়ি থেকে অ্যাডমিট কার্ড, বদলি সংক্রান্ত নথিও উদ্ধার করা হয়েছে।
অন্য দিকে, সোমবার আদালতে ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে, পার্থ ও অর্পিতার যৌথ সম্পত্তি রয়েছে। ইডির দাবি, পার্থ ও অর্পিতার মধ্যে নিশ্চয়ই এমন কোনও সম্পর্ক রয়েছে, যার জন্য তাঁরা একসঙ্গে সম্পত্তি কিনেছেন। যদিও ইডির এই যুক্তি মানতে চাননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, অর্পিতার বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, অর্পিতার সঙ্গে পার্থের যোগ রয়েছে। আদালতে ইডির তরফে এ-ও দাবি করা হয়েছে যে, পার্থের বাড়ি থেকেও বিভিন্ন সম্পত্তির দলিল ও সংস্থার নথি উদ্ধার হয়েছে।
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগে ‘দুর্নীতি’র মামলায় গত শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ পার্থর নাকতলার বাড়িতে হানা দেয় ইডির দল। সেই সময় থেকে টানা প্রায় ২৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মন্ত্রীকে। পরের দিন অর্থাৎ শনিবার গ্রেফতারের পর সকাল ১০টায় তাঁকে বাড়ি থেকে বার করে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যান ইডির আধিকারিকরা। পরে আদালতে পেশ করা হয় পার্থকে। প্রথমে তিন দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয় পার্থকে। শারীরিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে এসএসকেএম হাসপাতালে পার্থকে ভর্তি করানোর জন্য আদালতে আবেদন জানান মন্ত্রীর আইনজীবী। ইডির ‘আপত্তি’ সত্ত্বেও ওই আবেদন মঞ্জুর করা হয়। শনিবার সন্ধ্যার পরে এসএসকেএমে ভর্তি করানো হয় পার্থকে। নিম্ন আদালতের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। রবিবার সেই মামলার শুনানিতে পার্থকে ভুবনেশ্বর এমসে নিয়ে গিয়ে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোর নির্দেশ দেয় আদালত। সেই মতো সোমবার সকালে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে ভুবনেশ্বর নিয়ে যাওয়া হয়। স্বাস্থ্যপরীক্ষার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় যে, হাসপাতালে ভর্তি করানোর মতো অসুস্থ নন পার্থ। তার পরই মঙ্গলবার সকালে তাঁকে কলকাতায় ফেরানো হয়।