প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন নিয়োগপত্র পাওয়া শিক্ষকেরা আগামী ১০ বছর বদলি হতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। টেট নিয়ে রাজ্য জুড়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে রবিবার পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির হুগলি জেলা শাখার বার্ষিক সম্মেলনে এই ঘোষণা করেন তিনি।
এবং তার পরেই নবনিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা আর নিয়োগের অপেক্ষায় থাকা প্রার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে। মন্ত্রী পরে জানান, আসলে তিনি বলতে চেয়েছেন, চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ না-হওয়া পর্যন্ত প্রাথমিকের ওই শিক্ষকদের বদলি করা হবে না।
এই সুর বদলের আগে, চুঁচুড়ার সম্মেলনে পার্থবাবু অবশ্য বদলি বন্ধ রাখার কারণও ব্যাখ্যা করেছিলেন। তিনি জানান, এই শিক্ষকদের (নবনিযুক্ত) অনেকেই জেলা পরিবর্তন করে অন্য জেলা থেকে পরীক্ষায় নাম লিখিয়েছেন। তাই অন্তত ১০ বছর তাঁদের বদলি করা হবে না। ‘কাউকে ধরে (বদলি) হবে না’ বলেও জানিয়ে দেন তিনি। বিক্ষুব্ধ প্রার্থীরা প্রশ্ন তুলতে থাকেন, অনেক টানাপড়েনের পরে নিয়োগ শুরু হয়েছে। সেই নিয়োগও মসৃণ ভাবে হচ্ছে না। তার মধ্যে বদলি নিয়ে খোদ শিক্ষামন্ত্রীর এই ধরনের ঘোষণা কেন?
এই বিষয়ে পরে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পার্থবাবু তখন অবশ্য বলেন, ‘‘আমি বলতে চেয়েছি, নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ না-হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকদের বদলি বন্ধ থাকবে।’’
টেট নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে বিরোধী শিবিরও। চুঁচুড়ার সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘কয়েক দিন পরেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে। আপনারা আন্দোলন করার আগে ভেবে দেখবেন, পরীক্ষার্থীদের যেন অসুবিধা না-হয়।’’ তবে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে এ দিনও সরব হয়েছে বিরোধীরা। টেট নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ বলেন, ‘‘তদন্ত হলেই বোঝা যাবে, তৃণমূলের ঘরে কত টাকা ঢুকেছে!’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, পরীক্ষায় সফল হয়েও যাঁরা চাকরি পাননি, তাঁদের সমস্ত আইনি সহায়তা দেবে তাঁর দল।