পার্থ চট্টোপাধ্যায়-অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র ।
নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত ইডির মামলায় নগর দায়রা আদালতে ভার্চুয়াল শুনানিতে উপস্থিত হয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায় দু’জনেই তাঁদের শারীরিক অবস্থার কথা জানালেন। যদিও বিচারক তাঁদের ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
যদিও বিচারক তাঁদের ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। নগর দায়রা আদালতের বিচারক পার্থ এবং অর্পিতা দু’জনের কাছেই কিছু বলার আছে কি না, জানতে চান বিচারক।
তাঁর শারীরিক অবস্থা ভাল নয়, এ কথা জানিয়ে বিচারককে পার্থ বলেন, “জেলে পর্যাপ্ত চিকিৎসা হচ্ছে না।” এ কথা শোনার পরেই বিচারক জেল কর্তৃপক্ষের কেউ আছেন কি না, তা জানতে চান। একই ভাবে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত অর্পিতাও বিচারককে জানান, শরীর ভাল যাচ্ছে না। অর্পিতার এই দাবি করার পরেই বিচারক তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, এই বিষয়টি তিনি জেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন কি না। অর্পিতা বলেন, “জেল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিলেও সেখানে প্রয়োজনীয় ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “জেলের যে ওয়ার্ডে থাকতে দেওয়া হয়েছে, সেখানে থাকা খুবই কষ্টকর।”
প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে নেমে গত ২২ জুলাই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। এর পর ২৩ জুলাই গ্রেফতার হন পার্থ। পরে তৃণমূলের বিধায়ক মানিককেও গ্রেফতার করা হয়। ইডির ধারণা, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে বাজেয়াপ্ত টাকার সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির যোগ রয়েছে। তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে টাকা নেওয়া হত। তার নেপথ্যে ছিলেন পার্থ এবং মানিক। আদালতের নির্দেশে দু’জনেই এখন জেল হেফাজতে।