পার্থ চট্টোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।
শরীর খুব খারাপ। দিন দিন তা আরও খারাপ হচ্ছে। পা ফুলেছে। জেলে থেকেই চিকিৎসা এবং ফিজিওথেরাপির ব্যবস্থা চাইলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ‘জেল কোড’ মেনে যা ব্যবস্থা সম্ভব, সেই অনুযায়ী হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক। ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। আদালত থেকে বার হওয়ার পর সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন, সকলে যখন হাসপাতালে থেকে চিকিৎসার আবেদন করছেন, তিনি করেননি কেন? জবাবে পার্থ বলেন, ‘‘আমি দ্রুত বিচার চাইছি।’’ তিনি প্রভাবশালী নন, কোনও দিন ছিলেন না বলেও জানিয়েছেন পার্থ।
বৃহস্পতিবার আদালতে লকআপ রুমে বসে কোর্ট ইনস্পেক্টর (সিআই)-এর ফোন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানিতে উপস্থিত হন পার্থ। তিনি বলেন, ‘‘শরীর খুব খারাপ। দিন দিন খারাপ হচ্ছে। কিডনি থেকে পা ফুলছে। আজ পা প্রচণ্ড ফোলা, হাঁটতে পারছি না। যদি জেলে আমার ফিজিওথেরাপি, কিডনির চিকিৎসা করা যায়!’’ এর পরেই বিচারপতি জানান, ‘জেল কোড’ মেনে যা ব্যবস্থা সম্ভব, তা করা হবে।
বৃহস্পতিবার আদালতে উপস্থিত হলেও সিঁড়ি ভেঙে শুনানি কক্ষে উঠতে পারেননি পার্থ। জানিয়েছেন, তাঁর পা ফোলা। তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, পা ফুলে থাকায় হাঁটতে সমস্যা হচ্ছে। ওঁকে যাতে শুনানি কক্ষে উপস্থিত হতে না হয়, তার আবেদন জানান আইনজীবী। বিচারক জানতে চান, কোর্ট লকআপ থেকে তাঁকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজির করানো যায় কি না। যদিও পুলিশ জানায়, কোর্ট লকআপে ইন্টারনেট পরিষেবার সমস্যা রয়েছে। এর পরেই বিচারক কোর্ট লকআপ চত্বর থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে তাঁকে হাজির করানোর কথা জানিয়েছেন। সেখানে বসেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানিতে যোগ দেন পার্থ। আইনজীবীর মাধ্যমে জানান, নিজের অসুস্থতার কথা। তাঁর আইনজীবী জানান, জেলেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক পার্থের।
রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে রাজ্যের ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এখন এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়ে গ্রেফতার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পার্থের আইনজীবী যদিও জানিয়েছেন, জেলেই তাঁর মক্কেলের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক। পার্থ আদালত থেকে বেরিয়ে বলেন, ‘‘আমি কোনও দিনই প্রভাবশালী ছিলাম না, আজও নেই।’’ এর আগে জেলে সব সময়ের সহায়ক চেয়ে কোর্টে আবেদন করেছিলেন পার্থ। যদিও বিশেষ সিবিআই আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেনি।