এই চক্রকে ধরতে না পারা ‘সরকারের অক্ষমতা’ বলেও মেনে নিলেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে যে দুর্নীতির একটি চক্র ছিল, তা কার্যত স্বীকার করে নিলেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। সেই সঙ্গেই এই চক্রকে ধরতে না পারা ‘সরকারের অক্ষমতা’ বলেও মেনে নিলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘একটা চক্র এই দুর্নীতি করেছে। শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির চক্রটাকে ধরতে পারিনি। এটা আমাদের অক্ষমতা।’’
দুর্নীতির প্রশ্নে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে ইঙ্গিত করলেও বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ভূমিকার প্রশংসাই করেছেন সেচমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘এখন আমরা চক্রটাকে শনাক্ত করতে পেরেছি। এ বারের টেট পরীক্ষা ব্রাত্য বসুর নেতৃত্বে এবং মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গোটা দেশে উদাহরণ হিসাবে দাড়িয়েছে। কেউ আঙুল তুলতে পারেননি।’’
বনগাঁয় দলীয় কর্মসূচিতে এসে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে এ দিন অবশ্য একেবারে ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন সেচমন্ত্রী। তাঁর কথা, ‘‘দুর্নীতি এবং অনিয়ম বিষয় দু’টি আলাদা। আমি কাউকে চাকরি দিয়েছি এবং তার বিনিময়ে টাকা নিয়েছি, এটা দুর্নীতি।’’ তবে দলের কর্মী-সমর্থকদের চাকরি দেওয়ার বিষয়টিকে তিনি দুর্নীতি বলে মানতে চাননি। সেচমন্ত্রী বলেন, ‘‘দলের লোককে চাকরি দিলাম কিন্তু তার বিনিময়ে টাকা নিলাম না, এটা অনিয়ম। দুর্নীতি আর অনিয়মের দুটোর মধ্যে পার্থক্য আছে।’’
তৃণমূলের এ দিনের সভায় ছিলেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস, বনগাঁর যুব তৃণমূল সভাপতি নিরুপম রায়। জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘‘বিজেপি ধারাবাহিক ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের আক্রমণ করছে। রাজনৈতিক জীবনে এই রকম প্রতিহিংসা দেখিনি। এটা বেশি দিন চলতে পারে না। আমরা মানুষের কাছে যাব।’’
বনগাঁর বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশে সিবিআই, ইডি তদন্ত করছে। যারা চুরি করেছে তাদের ইডি সিবিআই ধরছে। তৃণমূলের এত যন্ত্রণা বাড়ছে কেন?’’