আদালত সূত্রে খবর, সাক্ষ্যগ্রহণের সময় বেশ কিছু ক্ষণ উপস্থিত ছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
শিয়ালদহ আদালতে আরজি কর মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার উপস্থিত হলেন নির্যাতিতার বাবা এবং মা। আদালত সূত্রে খবর, সাক্ষ্যগ্রহণের সময় বেশ কিছু ক্ষণ উপস্থিত থাকেন তাঁরা। বুধবারই তাঁদের কৌঁসুলির দায়িত্ব ছেড়েছেন বৃন্দা গ্রোভার। চিকিৎসকদের সংগঠন ‘জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টর্স’ নির্যাতিতা চিকিৎসকের পরিবারের জন্য আইনজীবী খুঁজে দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগী হয়। এখন থেকে রাজদীপ হালদার এবং অমর্ত্য দে নিম্ন আদালতে নির্যাতিতার পরিবারের হয়ে মামলা লড়বেন।
শিয়ালদহ কোর্টে প্রায় প্রতি দিন ‘ইন ক্যামেরা’ অর্থাৎ রুদ্ধদ্বার শুনানি চলছে আরজি কর-কাণ্ডের। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিক। এখন পর্যন্ত আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় প্রায় ৫০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। ১১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এই মামলার বিচার। প্রথম দিন সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আদালতে উপস্থিত ছিলেন নির্যাতিতার বাবা। বৃহস্পতিবার আদালতে আবার হাজির হন তিনি এবং নির্যাতিতার মা।
গত সেপ্টেম্বর মাসে আরজি কর মামলায় নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষে লড়ার দায়িত্ব নেন বৃন্দা। তার আগে এই মামলা ওই পরিবারের পক্ষে লড়ছিলেন আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য। পরে তাঁর জায়গায় বৃন্দাকে নিয়োগ করেছিলেন নির্যাতিতার পরিবার। প্রায় বিনা পারিশ্রমিকেই এত দিন বিভিন্ন আদালতে আরজি কর মামলায় সওয়াল করেছেন বৃন্দা এবং তাঁর দফতর। বুধবার সেই দায়িত্বই ছেড়েছেন বৃন্দা। দায়িত্ব ছাড়ার প্রসঙ্গে বৃন্দা বলেছেন, ‘‘কিছু নির্দিষ্ট কারণ এবং পরিস্থিতির জন্য বাধ্য হয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত তিন মাস ধরে নিয়ম-নীতি মেনেই যাবতীয় আইনি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের সঙ্গেও সহযোগিতা করা হয়েছে।’’ দায়িত্ব ছাড়ার বিষয়ে নিম্ন আদালতকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন বৃন্দা। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাওয়ার কারণে তিনি আরজি কর মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
গত ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হল থেকে চিকিৎসক-পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ উঠেছিল। দেহ উদ্ধারের রাতেই এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। এই মামলায় সিবিআইয়ের জমা দেওয়া চার্জশিটেও অভিযুক্ত হিসাবে শুধু মাত্র তাঁর নাম রয়েছে। শিয়ালদহ আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিটও গঠন করা হয়েছে।