অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার। —ফাইল ছবি।
আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় সোমবার থেকে ‘ইন ক্যামেরা’ বিচার শুরু হয়েছে। সাক্ষ্য দিতে শিয়ালদহ আদালতে উপস্থিত ছিলেন নির্যাতিতার বাবা। এই মামলায় অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আদালতে। দুপুর সওয়া ২টো নাগাদ অভিযুক্তকে এজলাসে নিয়ে যাওয়া হয়। শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব। প্রায় তিন ঘণ্টা পরে শেষ হল প্রথম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ।
এই মামলার সঙ্গে যুক্ত নন যাঁরা, তাঁদের আদালতকক্ষ থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ‘ইন ক্যামেরা’র অর্থ বন্ধ কক্ষে বিচার। এই রুদ্ধদ্বার বিচার প্রক্রিয়ায় বাইরের কারও প্রবেশাধিকার নেই।
আদালতে উপস্থিত ছিলেন নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভারও। উপস্থিত ছিলেন নির্যাতিতার এক প্রতিবেশী সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়ও, যিনি নিজেকে ‘কাকু’ বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। যদিও আরজি কর কাণ্ডের পর তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। সোমবার সঞ্জীব দাবি করেন যে, তিনিও সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আদালতে গিয়েছেন।
আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে শিয়ালদহ আদালতে। এই মামলায় প্রথম দুই সাক্ষী হিসাবে আদালতে বয়ান নথিবদ্ধ করাবেন নির্যাতিতার বাবা-মা। বয়ান নথিবদ্ধ করবে শিয়ালদহ আদালত। এই মামলায় মোট ১২৮ জন সাক্ষী রয়েছেন। এই ১২৮ জনের মধ্যে রয়েছেন জুনিয়র ডাক্তার, কলকাতা পুলিশ, ফরেন্সিক বিভাগের আধিকারিকেরাও। ধাপে ধাপে প্রত্যেকেরই বয়ান নথিবদ্ধ করা হবে। তবে সবার প্রথমে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সাক্ষ্যগ্রহণ করবে আদালত।
দুপুর ১২টা নাগাদ নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাড়িতে যান সিবিআইয়ের এক আধিকারিক। সিবিআইয়ের গাড়িতে করেই নির্যাতিতার বাবা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসের উদ্দেশে রওনা দেন। সেখান থেকেই তিনি আদালতে যান। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় আদালতে ঢোকেন তিনি। বাবার পরে সাক্ষ্য দেবেন নির্যাতিতার মা।
সোমবার থেকে রোজ আরজি কর ধর্ষণ এবং খুনের মামলার শুনানি চলবে। আরজি কর-কাণ্ডের পরদিনই কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করেছিল এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে। এই মামলায় সিবিআইয়ের জমা দেওয়া চার্জশিটেও অভিযুক্ত হিসাবে শুধু মাত্র তাঁরই নাম রয়েছে। গত সোমবার শিয়ালদহ আদালতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়। এক সপ্তাহ পরে, সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে বিচার পর্ব।