Para Teachers

বিকাশ ভবনের সামনে অনশনে ৪০ জন, আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছেন পার্শ্ব শিক্ষকেরা

বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির তরফে তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হলেও, শাসকদল পার্শ্ব শিক্ষকদের থেকে এখনও দূরত্ব বজায় রেখেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৯ ১৮:১৮
Share:

বিকাশ ভবনের সামনে অনশন চলছে। —নিজস্ব চিত্র।

পার্শ্ব শিক্ষকদের অনশন মঞ্চে ক্রমশই ভিড় বাড়ছে। বেতন বৃদ্ধি এবং স্থায়ীকরণের দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরেই সরব এ রাজ্যের পার্শ্ব শিক্ষকেরা। গত পাঁচ দিন ধরে সল্টলেকের বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনে শামিল হয়েছেন কয়েক হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা। প্রতিবাদে শুরু হয়েছে অনশনও। এখনও পর্যন্ত ৪০ জন অনশনে বসেছেন। রাজ্যের তরফে কোনও সদর্থক ভূমিকা নেওয়া না হলে, এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের হুঁশিয়ারি, সরকার কোনও ব্যবস্থা না নিলে আমৃত্যু এই অনশন চলবে।

Advertisement

বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির তরফে তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হলেও, শাসকদল পার্শ্ব শিক্ষকদের থেকে এখনও দূরত্ব বজায় রেখেছে। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, তাঁদের নির্দিষ্ট কোনও বেতন কাঠামো নেই। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যৌথ ভাবে তাঁদের হাতে সাম্মানিক বেতন দেয়। এই অনুপাত ৬০:৪০। অবসর নেওয়ার পর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।

তাঁদের আরও অভিযোগ, যে অনুপাতে টাকা দেওয়ার কথা, তার থেকে কম টাকা মিলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার আগে স্থায়ীকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপই করা হয়নি। গত এক দশক ধরে তাঁদের বেতন কাঠামো এবং স্থানীয়করণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। শনিবার এক আন্দোলনকারী বলেন, “কী ভাবে সমস্যার সমাধান হবে না দেখে, উল্টে রাজ্যের তরফ থেকে বলা হচ্ছে কেন্দ্রের থেকে টাকা আদায় করতে পারলে করে নিন। এটা কোনও কথা হতে পারে না। সম্প্রতি দু’বার লিখিত ভাবে সমস্যার সমাধানের জন্যে লিখিত চিঠি দেওয়া হয়েছে কোনও উত্তর মেলেনি।”

Advertisement

আরও পড়ুন: আপেলের কেজি যখন ৬০ টাকা, পেঁয়াজ তখন ৮০, ঢেঁড়শ-টোম্যাটো-বেগুন বিকোচ্ছে ৭০-এ!​

অনশনকারীদের বক্তব্য, গত ৫ দিন ধরে আন্দোলনে বসেছেন। অন্য এক আন্দোলকারী বলেন, ‘‘আমরা তো আর সরকার বিরোধী নই। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা চাইছি। তবে তাঁরা যদি কোনও আলোচনা না করেন, তা হলে এখানেই আমরা অনশন করে মৃত্যুবরণ করব।’’ রাজ্যে প্রায় ৪০ হাজার পদে রয়েছেন পার্শ্ব শিক্ষকরা। সল্টলেকের ওই আন্দোলন মঞ্চে রয়েছে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা।

এ দিন অনশন মঞ্চে হাজির হন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি সেখানে বলেন, “চাকরি চাইলে সরকার লাঠিপেটা করছে। ডিএ পাচ্ছেন না কর্মীরা। চাকরিও দিতে পাচ্ছে না। আমরা আপনাদের সঙ্গে রয়েছি।”

আরও পড়ুন: রড দিয়ে মেরে মূত্রপানে বাধ্য করা হয়েছিল, ৮ দিনের লড়াই শেষে মারা গেলেন দলিত যুবক জগমেল সিংহ​

মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর প্রথম থেকেই তাদের পাশে রয়েছে। সংগঠনের তরফে আলতাফ আহমেদ জানিয়েছেন, “সরকারের আরও মানবিক হওয়া উচিত। দীর্ঘ দিন ধরেই তারা বঞ্চিত। চুরি তো করছে না। পেটের দায়ে তাঁরা এই আন্দোলনে শামিল হয়েছেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement