নবান্ন। —ফাইল চিত্র।
শংসাপত্র পেতে পঞ্চায়েত স্তরের জনপ্রতিনিধিদের দরবারে ধর্না দেওয়ার দিন শেষ হতে চলেছে। গ্রামীণ এলাকায় প্রয়োজনীয় শংসাপত্র পেতে এ বার অনলাইনে আবেদন করা যাবে। আবেদন যাচাই করার পর অনলাইন মারফতই পেয়ে যাবেন প্রয়োজনীয় শংসাপত্র। পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে খবর, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই নতুন একটি অ্যাপ চালু করতে চলেছে তারা। এই অ্যাপটি চালু হয়ে গেলে ইনকাম সার্টিফিকেট ও ক্যারেক্টার সার্টিফিকেটের মতো শংসাপত্র পেতে আর পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের দ্বারস্থ হতে হবে না গ্রামীণ জনতাকে। অ্যাপটি চালু হয়ে গেলে, সেই অ্যাপে গিয়ে নিজেদের নাম রেজিস্টার করাতে হবে শংসাপত্র পেতে চাওয়া ব্যক্তিকে। সেই সঙ্গে যাবতীয় তথ্য ও নথি আপলোড করে দিতে হবে অ্যাপেই। পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে খবর, আবেদনকারীর তথ্য ব্লক স্তর থেকে যাচাই করা হবে। তথ্যের সত্যতা প্রমাণিত হলে অ্যাপেই তাঁর সংশ্লিষ্ট শংসাপত্রটি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যা ওই ব্যক্তি নিজের প্রয়োজন মতো ব্যবহার করতে পারবেন।
‘ওয়েস্ট বেঙ্গল পঞ্চায়েত ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’-এর অধীনে নতুন এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। পঞ্চায়েত দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘এই অ্যাপ চালু হলে এক দিকে যেমন সাধারণ গ্রামীণ জনতার সুবিধা হবে, তেমনই ব্লক স্তরের জনপ্রতিনিধিরাও শংসাপত্র দেওয়ার কাজের বদলে অন্য প্রয়োজনীয় কাজে অতিরিক্ত সময় দিতে পারবেন। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে এই বিষয়ে আলোচনা চলছিল দফতরে। এখন প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পথে রয়েছে।’’ এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, গ্রামের মানুষের কাছে নতুন এই পদ্ধতিকে কী ভাবে জনপ্রিয় করে তোলা যায়? সে ক্ষেত্রেও পঞ্চায়েত দফতর পরিকল্পনা করছে যে, গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রচারাভিযান চালানো হবে। ফলে সহজেই মানুষ ইনকাম ও ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট পাওয়ার নতুন পদ্ধতি প্রসঙ্গে সচেতন হবেন।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত দফতর বহু ক্ষেত্রে অনলাইন পরিষেবা শুরু করে দিয়েছে অনেক আগে থাকতেই। কিন্তু এই দু’টি জরুরি শংসাপত্র পাওয়ার ব্যাপারে এখনও অফলাইনেই নির্ভর করতে হয় গ্রামীণ জনতাকে। তাই যাবতীয় সমস্যার সমাধান করতে শারদোৎসবের আগেই নতুন এই পরিষেবা পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ জনতার জন্য শুরু করতে চায় পঞ্চায়েত দফতর।