তৎপর রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর। প্রতীকী ছবি।
এমনিতেই দেরি হয়েছে অনেক। তার উপরে সব স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের দু’সেট পোশাক পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ। যতটুকু পৌঁছেছে, তার মান নিয়েও অভিযোগ বিস্তর। দুর্গোৎসবের আগেই সব স্কুলে পোশাক পৌঁছে দিতে তৎপর হয়েছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর। গ্রামোন্নয়ন দফতর সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলের রিপোর্টের ভিত্তিতেই নির্দিষ্ট সময়সীমায় সমস্যার সুরাহায় নেমেছে রাজ্য সরকার।
বিভিন্ন জেলায় ছাত্রছাত্রীদের পোশাকের হালহকিকত জানতে পঞ্চায়েত-কর্তারা আগামী সোমবার থেকে গাঁ-গঞ্জের স্কুলগুলি সরেজমিন ঘুরে দেখবেন বলে নবান্ন সূত্রের খবর। শুধু স্কুলের পোশাক নয়, তাঁদের নজর থাকবে প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুলগুলির পানীয় জল, মিড-ডে মিল এবং শৌচাগারের ব্যবস্থাপনার দিকেও। পঞ্চায়েতসচিব পি উলাগানাথন বৃহস্পতিবার জানান, প্রথম দফায় বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর ছাড়াও পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার স্কুল ঘুরে দেখবেন পঞ্চায়েত-কর্তারা।
পড়ুয়াদের হাতে স্কুলপোশাক তুলে দিতে কয়েক দিন আগেই উল্লিখিত জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন সচিব। বিভিন্ন গ্রামীণ স্কুলে পোশাক নিয়ে ক্ষোভের আঁচ মিলেছিল সেই বৈঠকে। নবান্নের ‘জ়িরো টলারেন্স’ বা অভিযোগ প্রশমন নীতি মেনেই সমস্যার সুরাহায় আগামী সপ্তাহ থেকে মাঠে নামছেন কর্তারা। স্কুলপোশাক এবং অন্যান্য অসুবিধা রয়েছে, এমন স্কুল চিহ্নিত করতে অন্তত দশটি জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসকদের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, চলতি শিক্ষাবর্ষের প্রায় আট মাস কেটে যাওয়া সত্ত্বেও রাজ্যের অন্তত দশটি জেলার বেশ কিছু স্কুলে সরকারি স্কুলপোশাক পৌঁছয়নি। যে-সব স্কুলে পৌঁছেছে, সেখানে পোশাকের মান আর মাপ নিয়েও অভিযোগ উঠছে। স্কুলপড়ুয়াদের পোশাক তৈরি করে বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠী। স্কুলপোশাক নিয়ে সরকারের বিলম্বিত তৎপরতা নিয়ে বিরোধী শিবির কটাক্ষ করতে কসুর করছে না। তাদের বক্তব্য, আগামী বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মনে পড়ায় শিক্ষাবর্ষ চালু হওয়ার আট মাস পরে সরকার স্কুলপোশাক দিয়ে গ্রামীণ অভিভাবকদের মন পেতে চাইছে।