প্রতীকী ছবি।
রেশনের জিনিসপত্র নেন না এমন রেশনকার্ড হোল্ডারদের আলাদা করে চিহ্নিত করতে চাইছে রাজ্য সরকার। তাতে যাঁদের প্রয়োজন, সরকারি প্রকল্পের বরাদ্দ সুবিধা তাঁদের কাছে ভাল ভাবে পৌঁছে দেওয়া যাবে। বুধবার এই ভাবনার কথা জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে একটি সর্বদল বৈঠক ডাকতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন বিধানসভায় রেশনকার্ড সংক্রান্ত কিছু সমস্যার কথা উল্লেখ করেন তৃণমূল বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার। সভায় উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে তখন বলেন, ‘‘দিল্লিতে এমন একটা সরকার এসেছে, লোকের মধ্যে ভয় ঢুকে গেছে, এখানে এনআরসি হবে, সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট আইন হবে। তাই পরিচয়পত্র হিসেবে কার্ড রেখে দিচ্ছে। তার ফলে কার্ডের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। ফলে যাঁরা রেশন নেন তাঁদের জন্য একরকম কার্ড ও যাঁরা নেন না তাঁদের জন্য আলাদা কার্ড হতে পারে।’’ এ নিয়ে আলোচনার জন্য অধিবেশনকক্ষে উপস্থিত খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে বলেন সব দলকে নিয়ে বৈঠক করতে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্যে এখন প্রায় ৯ কোটি ১০ লক্ষ কার্ড আছে। তাঁদের মধ্যে দেড় কোটি কার্ড হোল্ডার রেশন নেন না। সেই মতো তাঁদের জন্য জিনিসপত্র বরাদ্দ হয়।’’
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‘এখনও ৪-৫ শতাংশ মানুষ কার্ড পাননি। যে সব এজেন্সি এই কাজ করেছে, তাদের আন্তরিকতার অভাবেই তা করা যায়নি। গরিব মানুষের কোনও ধর্ম হয় না। জাত হয় না। সকলকে দিতে হবে।’’ পরে খাদ্যমন্ত্রী জানান, ৯ থেকে ২৬ সেপ্টৈম্বর রাজ্যের সব বিডিও অফিসে কার্ডের জন্য নাম নথিভূক্ত করা হবে। যাঁদের কার্ড নেই তাঁরা প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র সহ সেই শিবিরে গিয়ে নতুন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে চলতি মাসের ৩০ তারিখ স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৌরহিত্যে বিধানসভায় রেশন কার্ড সংক্রান্ত সর্বদল বৈঠক হবে।