Election

মেডিক্যাল কাউন্সিলের ভোটে কারচুপির অভিযোগ বিরোধীদের, অস্বীকার শাসক শিবিরের

ভোটে প্রহসনের অভিযোগ তুলে সমালোচনায় সরব হয়েছে মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টার নামে আরও একটি সংগঠন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২২ ২৩:১৩
Share:

নিজস্ব চিত্র

রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের ভোটে কারচুপি ও ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ‘সরকারপন্থী’দের বিরুদ্ধে ব্যাগে করে প্রায় হাজার দুয়েক ব্যালট এনে ব্যালট বক্সে ফেলার অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের চিকিৎসকদের মঞ্চ ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস্’। ভোটে প্রহসনের অভিযোগ তুলে সমালোচনায় সরব হয়েছে মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টার নামে আরও একটি সংগঠন। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে শাসকদল ‘ঘনিষ্ঠ’ সংগঠনের পক্ষ থেকে। ওই সংগঠনের প্রার্থী হিসাবে সুদীপ্ত রায় বলেন, ‘‘অভিযোগকারী সংগঠনগুলির কোনও সমর্থন নেই। ভোটে হেরে যাবে বলে এই সব ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে।’’

Advertisement

প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করে ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস্’ দাবি করেছে, ‘‘২০১৮ সালের চূড়ান্ত প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে উচ্চ আদালতের নির্দেশে নতুন নির্বাচন প্রক্রিয়া চলছে। এই প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই আবারও নানা অনিয়ম, অনৈতিক কাজকর্ম করে চলেছে সরকারপন্থী প্রার্থীরা। যে কমিটির হাতে স্বচ্ছ নির্বাচন করার দায়িত্ব দিয়েছিল উচ্চ আদালত, সেই কমিটির পাঁচ জনই নিজেদের সরকারপন্থী ঘোষণা করে, বিশ্ব বাংলা লোগো এবং অশোক স্তম্ভ ব্যবহার করে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে পড়ে।’’ অভিযোগ, ‘‘চিকিৎসকদের কাছে ব্যালট পৌঁছতে শুরু করলে গত বারের মতো আবারও ফাঁকা ব্যালট জমা দেওয়ার জন্য চাপ, মেডিক্যাল কলেজগুলিতে বদলি এবং প্রমোশন আটকে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ফাঁকা ব্যালট সংগ্রহের চেষ্টার অভিযোগ আসতে শুরু করে। ফাঁকা ব্যালট না দিলে পিজিটি ডাক্তারদের পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হচ্ছে বলেও শোনা যাচ্ছিল।’’

‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস্’-এর দাবি, বুধবার বিকেল ৪টে নাগাদ কয়েক জন দু’টি ব্যাগে করে প্রায় হাজার দুয়েক ব্যালট নিয়ে এসে ব্যালট বক্সে ফেলতে শুরু করেন। যাঁদের ওই কাজ করতে দেখা গিয়েছে, তাঁরা কেউই চিকিৎসক নন বলে দাবি প্রেস বিবৃতিতে। ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে চিকিৎসকদের সংগঠন ‘মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টার’।

Advertisement

যদিও সুদীপ্তের বক্তব্য, ‘‘ভোটাররা অনেকেই দূরে থাকেন। হতে পারে, ওঁদের ব্যালট কেউ কেউ নিয়ে এসেছেন। আমি বলতে পারব না।’’ তবে পাল্টা অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘‘বেআইনি কাজ ওঁরা (অভিযোগকারীরা) করছেন। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, ব্যালট বাক্সের সামনে ভিডিয়ো করা নিষিদ্ধ। তা-ও সেই কাজ করা হয়েছে। বাকিদের ভয় দেখানো হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement