আকাশছোঁয়া পেঁয়াজের দাম।
সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর গত দু’দিন কিছুটা কমেছিল পেঁয়াজের দাম। কোথাও ৯০ টাকা, কোথাও ৮০-তেই পাওয়া যাচ্ছিল ছোট মাপের পেঁয়াজ। কিন্তু, মঙ্গলবার পাইকারি বাজারে যে ভাবে পেঁয়াজের দাম আকাশছোঁয়া হয়েছে, তাতে খুচরো বাজারে তার দাম ১৫০ টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
এ দিন পোস্তা-বড়বাজারে পাইকারি ভাবে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। খুচরো বিক্রেতাদের মধ্যে যাঁরা ওই দামে পেঁয়াজ কিনেছেন, তাঁরা কত টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করবেন, তা নজরে রাখছে রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্স এবং এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। নজরদারি চালানোর পরেও, আদৌ খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান খোদ টাস্ক ফোর্সের কর্তাদের একাংশ।
ফের কেন বাড়ল পেঁয়াজের দাম?
গত দু’মাস ধরেই পেঁয়াজ এমনিতেই অগ্নিমূল্য। পাইকারি বাজারে ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছিল মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজ। কিন্তু সেই দাম এক লাফে ৪০ টাকা বেড়ে হয়ে গিয়েছে ১০০ টাকা! এর প্রভাব যে খুচরো বাজারে পড়বে, তা ভালই বুঝতে পারছেন ব্যবসায়ীরা। পোস্তা বাজার সূত্রে খবর, প্রতি দিন গড়ে পেঁয়াজের ৩০টি ট্রাক (একটি গাড়িতে ১৬ টন পেঁয়াজ থাকে) আসত সেখানে। কিন্তু তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৪-৫টি গাড়িতে। ব্যবসায়ীদের দাবি, টাকা দিয়েও মহারাষ্ট্র থেকে পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না। এই হাহাকারের মধ্যে এ দিন মাত্র কয়েকটি ট্রাক ঢুকেছে। সে কারণেই পেঁয়াজের দাম আকাশ ছুঁয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজ্যপাল বিলে সই না করায় বিধানসভা স্থগিত করলেন স্পিকার, পাল্টা কড়া বিবৃতি রাজভবনের
আরও খারাপ পরিস্থিতি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পোস্তা বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, “মহারাষ্ট্রে যে ভাবে রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থা চলছে, পরোক্ষ ভাবে তার প্রভাব পেঁয়াজ ব্যবসায় পড়েছে। রাজনৈতিক ডামাডোলের সদ্ব্যবহার করছেন একাংশের ব্যবসায়ীরা। একে পেঁয়াজের আকাল, তার উপরে তাঁদের ফাটকাবাজারি, দেশ জুড়ে তার প্রভাব পড়ছে।”
আরও পড়ুন: যাদবপুর ছাড়িয়ে প্রতারণার জাল কড়েয়া-নাকতলা-কালীঘাটেও, প্রতারণার অঙ্ক পেরলো ১২ লাখ!
এ দিন টাস্ক ফোর্সের এক সদস্য বলেন, “পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আমার সর্বদাই নজরদারি চালাচ্ছি। এনফের্সমেন্ট ব্রাঞ্চও প্রতি দিন বাজারে ঘুরছে। ফের পেঁয়াজের দাম বেড়ে গিয়েছে। আমরা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছি।”