স্বাস্থ্য ভবন। — প্রতীকী চিত্র।
‘ভুয়ো’ সরকারি সাইট তৈরি করে জন্ম এবং মৃত্যুর ভুয়ো শংসাপত্র প্রদান! সরকারি আধিকারিকের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হলেন বিহারের এক যুবক। অভিযোগ, স্বাস্থ্য ভবনের ওয়েবসাইটের ‘রেপ্লিকা’ তৈরি করেছেন তিনি। তার পর তা থেকে বিভিন্ন জনকে জন্ম এবং মৃত্যুর ভুয়ো শংসাপত্র দিয়েছেন।
অভিযোগকারীর নাম অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্বাস্থ্যভবনের আধিকারিক। বিধাননগর থানায় তিনি লিখিত অভিযোগ করেন। জানান, পশ্চিমবঙ্গে জন্ম এবং মৃত্যুর শংসাপত্র দেয় সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম পোর্টাল। এই পোর্টাল পরিচালনা করে কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতরের কাছে দু’টি জন্মের শংসাপত্র এসেছে, যেগুলি ওই পোর্টাল দেয়নি।
ওই সরকারি পোর্টালে নথিভুক্ত করার জন্য বিভিন্ন জেলার পৃথক পাসওয়ার্ড রয়েছে। পৃথক ইমেল আইডিও রয়েছে। ভুয়ো শংসাপত্র হাতে পাওয়ার পর স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা দেখেন, বেশ কয়েকটি জেলার ইমেল আইডি এবং পাসওয়ার্ড বদল করা হয়েছে। সাব-রেজিস্ট্রারের দু’টি নতুন ইমেল আইডিও তৈরি করা হয়েছে। সেই ভুয়ো আইডি দিয়েই ভুয়ো শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। সোমবার দীপু কুমার নামে ২০ বছরের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। বিহারের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা তিনি। সরকারি ওয়েবসাইটের রেপ্লিকা তৈরি এবং ভুয়ো শংসাপত্র প্রদানের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার তাঁকে নিম্ন আদালতে হাজির করানো হয়েছে। পুলিশে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেছে।