এই দোকানের সামনেই চলে গুলি। — ফাইল চিত্র
বিরিয়ানির দোকানে গুলি চালানোর ঘটনায় আরও এক দুষ্কৃতী ধরা পড়ল। রবিবার গভীর রাতে কাঁকিনাড়ায় রাহুল বর্মা নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ। কিন্তু এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তেরা এখনও অধরা। সোমবার ব্যারাকপুর আদালত রাহুলকে চার দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
গুলি চালানোর ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গত বুধবার অভিষেক ঝা নামে এক যুবককে মোহনপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, গুলি চালানোর ঘটনায় মূল মাথা নিজেকে আগাগোড়া আড়ালে রেখেছে। এমনকি পুরো ঘটনার ছক জেলে বসে কষা হয়ে থাকতে পারে বলে তদন্তকারীদের সন্দেহ। মোবাইলের সূত্র ধরে ধৃত দু’জনকে জেরা করে সরাসরি জড়িত হিসেবে যাদের নাম পাওয়া গিয়েছে, তারা ভিন্ রাজ্যে লুকিয়ে আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের খোঁজে পুলিশের একটি বিশেষ দল পাঠানো হচ্ছে। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা-প্রধান অজয় ঠাকুর সোমবার বলেন, ‘‘সন্দেহভাজনেরা গা-ঢাকা দিয়ে আছে। ধরা নিশ্চয়ই পড়বে।’’
গত ১৬ মে দুপুরে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে ও ব্যারাকপুর-বারাসত রোডের সংযোগস্থলের কাছে ওই বিরিয়ানির দোকানের সামনে রাস্তায় মোটরবাইক দাঁড় করিয়ে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। কাউন্টারে তখন ভিড় ছিল। প্রদীপ সিংহ নামে এক কর্মচারী এবং রাজেশ মণ্ডল নামে এক জন ক্রেতার গায়ে গুলি লাগে। পালানোর সময়েও দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে বলে অভিযোগ। ঘটনার এক দিন আগেই বন্দুকের ডিপি দেওয়া একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে ওই বিরিয়ানির দোকানের মালিকের মোবাইলে অশ্লীল মন্তব্য ও হুমকি মেসেজ আসে বলে অভিযোগ। পুলিশ ওই মোবাইলের কললিস্ট ও মেসেজ পরীক্ষা করার পরেই অভিষেকের খোঁজ মেলে। তাকে জেরা করে দুষ্কৃতী চক্রটিকে খুব দ্রুত ধরা হবে বলে জানান পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা। কিন্তু এক সপ্তাহ পরে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ওই বিরিয়ানির দোকানের মালিক বাপি দাস সোমবার বলেন, ‘‘তদন্ত কতটা এগোল, কিছুই জানতে পারছি না। পুলিশ আশ্বাস দিচ্ছে, সেই ভরসাতেই আছি। কোনও প্রোমোটার চক্রের কাণ্ডও হতে পারে।’’