অর্ণব প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অ্যাকাউন্টস বিভাগে চাকরি করেন। ফাইল চিত্র ।
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র অফিসে তলব করা হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কর্মী অর্ণব বসুকে। শুক্রবারই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে উঠে আসা এই নয়া চরিত্রকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ইডি দফতরে হাজির হয়েছিলেন অর্নব। প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে এলেন তিনি। এর আগে বুধবার তল্লাশি চালানোও হয়েছিল অর্ণবের বাড়িতে। তাঁর মোবাইল এবং ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই তাঁকে শুক্রবার তলব করা হয়েছিল বলে ইডি সূত্রে খবর।
অর্ণব প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অ্যাকাউন্টস বিভাগে চাকরি করেন। ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগকাণ্ডে সম্প্রতি তাঁর নাম উঠে এসেছে। আর সেই কারণেই বুধবার তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি।
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্তে নেমে এর প্যাঁচ খুলতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। উঠে এসেছে নতুন নতুন চরিত্র। নতুন নতুন দাবি। একের পর এক গ্রেফতার হন পর্ষদের প্রাক্তন কর্তা থেকে রাজ্যের শাসকদলের নেতা-মন্ত্রী। নিয়োগ দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসতেই হাই কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন বহু মানুষ। সেই সূত্র ধরেই সল্টলেকের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়।
অর্ণবের বাড়িতে অভিযান চালানোর কয়েক দিন আগেই নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার জন্য অয়ন শীল নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে ইডি। তাঁর বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালিয়ে যে নথি উদ্ধার করা হয়, তার মধ্যে ছিল নিয়োগ সংক্রান্ত ওএমআর শিট। বেশ কিছু পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথিও তাঁর অফিস থেকে উদ্ধার হয়। অয়নের আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলাগড়ের বহিষ্কৃত দুই যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুন্তল ঘোষকেও। ইডির অনুমান, এই দুর্নীতির জাল অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইতিমধ্যেই জেলে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, মধ্য শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা, তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য, প্রমুখ।