প্রতীকী চিত্র
এ বার কলকাতা থেকে গ্রেফতার জাল ভিসা ও পাসপোর্ট চক্রের পান্ডা। জাল ভিসা ও পাসপোর্ট বানিয়ে প্রায় ২ কোটি টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছিলেন বলে অভিযোগ। দিল্লি পুলিশ ও হরিদেবপুর পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে নন্দকিশোর প্রসাদ নামের ওই ব্যক্তিকে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত নন্দকিশোরের কাছে ৮৬টি জাল পাসপোর্ট উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে বিদেশি পাসপোর্টও রয়েছে। এ ছাড়া প্রিন্টার, ল্যাপটপ, টাকা গোনার যন্ত্রও উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাসপোর্ট ও ভিসা বানিয়ে দেওয়ার নামে তিনি প্রায় ১ লক্ষ টাকা করে নিতেন বলে অভিযোগ। এই চক্রের জাল গোটা ভারত জুড়েই ছড়িয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লিতে চাণক্যপুরী থানায় প্রথম এই বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের হয়। ওমপ্রকাশ নামের এক যুবক বিদেশে চাকরির সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে তিনি ভিসা পাচ্ছিলেন না। সেই সময় সঞ্জীব অরোরা নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। সঞ্জীব তাঁকে বলেন যে তিনি ভিসা তৈরি দেবেন। কিন্তু টাকা দিয়ে দেওয়ার পরেও তিনি ভিসা পাননি বলেই অভিযোগ। অনেক বলার পরে ওমপ্রকাশকে ভিসার একটি স্ক্যান কপি দেন সঞ্জীব। দূতাবাসে গিয়ে তিনি জানতে পারেন সেটি জাল। তার পরেই থানায় প্রতারণার অভিযোগ করেন তিনি।
এই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে মোবাইলের শেষ অবস্থান ধরে উত্তর ২৪ পরগনায় আসে দিল্লি পুলিশের একটি দল। গ্রেফতার করা হয় সঞ্জীবকে। তাঁকে জেরা করে নন্দকিশোরের নাম জানতে পারে পুলিশ। এর পরেই শুক্রবার দিল্লি পুলিশ ও হরিদেবপুর পুলিশের দল মহাত্মা গাঁধী রোডের একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে নন্দকিশোরকে গ্রেফতার করে।
নন্দকিশোরকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চাইছে দিল্লি পুলিশ। এর পিছনে অনেক বড় চক্র রয়েছে বলেই তাদের ধারণা। তবে নন্দকিশোরই যে চক্রের মূল পান্ডা সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই বলেই জানিয়েছে পুলিশ।