প্রতীকী ছবি।
বাবাকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে এক যুবতীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে, কয়েক দিন আটকে রেখে বেশ কয়েকবার ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হল এক যুবক। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার ঘটনা। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ অভিযুক্ত বছর পঁচিশের সফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। বুধবার অভিযুক্তকে কাটোয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, ‘‘এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’
আদালতে এ দিনই বছর বাইশ-তেইশের ওই ‘নির্যাতিতার’ গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়। তবে সফিকুলের আইনজীবী নির্মল মণ্ডলের দাবি, ‘‘আমার মক্কেলের সঙ্গে ওই যুবতীর আগে থেকে ঘনিষ্ঠতা ছিল। সম্পর্কে অবনতি হওয়ায়, মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।’’ যুবতীর পরিবার অবশ্য ‘ঘনিষ্ঠতা’র কথা মানেনি।
‘নির্যাতিতা’র বাবা ১৬ অক্টোবর কাটোয়া থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, ২৬ সেপ্টেম্বর তাঁর মেয়ে হঠাৎ নিখোঁজ হন। তিনি থানায় নিখোঁজ-ডায়েরি করেন। ১৩ অক্টোবর তাঁর মেয়ে বাড়ি ফিরে এসে পরিবারের কাছে অভিযোগ করেন, কাটোয়ার কেশিয়ার বাসিন্দা সফিকুল তাঁকে অপহরণ করেছিল। বাড়ির সবাইকে খুনের হুমকি দিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে। পুলিশকে জানালে, বাড়ির সবাইকে খুন করবে বলে হুমকি দেওয়ায়, তাঁরা তখন আর থানায় যাননি।
নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, ‘‘১৫ অক্টোবর রাত প্রায় সাড়ে ১০টা নাগাদ সফিকুল লাথি মেরে দরজা ভেঙে, আমাদের ঘরে ঢোকে। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে জোর করে সে মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। বাধা দিলে বা চিৎকার করলে, গুলি করে মারার হুমকি দেয় সফিকুল। তাই মেয়েকে রক্ষা করতে পারিনি। কিন্তু মেয়েকে বাঁচাতে শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হই।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলকাতা থেকে সফিকুল ওই যুবতীকে নিয়ে ফিরছিল। খবর পেয়ে পুলিশ যুবতীকে উদ্ধার করে, সফিকুলকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, যুবতী তাদের জানিয়েছেন, কলকাতার মেটিয়াবুরুজের একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে তাঁর উপরে বার বার ‘অত্যাচার’ করেছে সফিকুল। টাকা ফুরিয়ে যাওয়ায় বাড়ি ফিরছিল সে। কাটোয়া হাসপাতালে যুবতীর প্রাথমিক চিকিৎসা করায় পুলিশ। বিধায়ক (কাটোয়া) রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অনভিপ্রেত ঘটনা। তবে পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে।’’