বৃহস্পতিবার একই দিনে পৃথক জায়গায় বিজয়া সম্মেলনী মমতা-শুভেন্দুর। ফাইল চিত্র
নিজের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরে বিজয়া সম্মিলনীতে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী বৃহস্পতিবার ওই সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনাচক্রে, ওই একই দিনে বিধানসভায় বিজেপির পরিষদীয় দলের বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বৃহস্পতিবার ভবানীপুর বিধানসভার অন্তর্গত ‘উত্তীর্ণ’ মুক্তমঞ্চে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার টুইট করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি লিখেছেন, ‘‘মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ভবানীপুর বিধানসভার বিজয়া সম্মিলনীতে মুখ্য অতিথি হিসাবে উত্তীর্ণ হলে হাজির হবেন ১৩ অক্টোবর বিকেল সাড়ে তিনটেয়।’’ আলিপুর এলাকায় ‘উত্তীর্ণ’ মুক্তমঞ্চটি তৈরি হয়েছে মমতা ক্ষমতায় আসার পরে। সেই মঞ্চে ভবানীপুর বিধানসভা তৃণমূলের তরফে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হবে। কুণাল আরও জানিয়েছেন, এরপর দলীয় ভাবে রাজ্যের সর্বত্র বিজয়া সম্মিলনী পালন করবে তৃণমূল।
তৃণমূলনেত্রী যে দিন নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিজয়া সম্মিলনী করবেন, ঘটনাচক্রে ঠিক সেই সময়েই বিধানসভায় বিজেপি পরিষদীয় দলের বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হবে বলে গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে।ওই বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজক বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। বিজেপি পরিষদীয় দল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টেয় বিধানসভার নৌশার আলি কক্ষে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছে। ওই দিন বিজেপির ৭০ জন বিধায়ককে নৌশার আলি কক্ষে হাজির হওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বিরোধী দলনেতার দফতরের তরফে। শুভেন্দুর ডাক পেয়ে উত্তরবঙ্গের বিধায়কদের অনেকেই মঙ্গলবার রাতেই কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিজেপি পরিষদীয় দলের এক সদস্য।
শহরের দু’প্রান্তে একই দিনে মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতার বিজয়া সম্মিলনী আয়োজনের এমন ঘটনা আগে কখনও হয়ছে বলে মনে করতে পারছেন কেউই। বাংলার রাজনীতির কারবারিদের মতে, বিজয়ার মঞ্চ হলেও, মমতা-শুভেন্দু উভয়ই পরস্পরের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আক্রমণ করতে পারেন। কারণ, উৎসবের আবহেও বাংলার রাজনীতিতে বিজেপি-তৃণমূল নেতাদের মধ্যে বাগ্যুদ্ধ চলছেই। মঙ্গলবার আবার পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য গ্রেফতার হওয়ার পর রাজ্য রাজনীতির উত্তাপ কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে।