ধর্মতলার চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থানে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। ফেসবুক থেকে নেওয়া।
বিজয়া দশমীর দিন এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থানে গিয়ে মিষ্টিমুখ করিয়ে এলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। বুধবার বিজয়ার দিনেও কলকাতার মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির নীচে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরা।দশমীর দিন তাঁদের আন্দোলন ৫৭০ দিনে পড়ল। পুজোর দিনগুলিও তাঁদের কেটেছে রাস্তায়। পুজোর সময়ের বৃষ্টিও টলাতে পারেনি তাঁদের। চাকরির দাবি নিয়ে দশমীতে সেই চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন মঞ্চে গিয়ে দেখা করতে যান বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান। বিজয়ার মিষ্টি খাইয়ে পাশে থাকার আশ্বাসও দেন এই বর্ষীয়ান রাজনীতিক। সঙ্গে জানালেন বিজয়ার শুভেচ্ছাও।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আর্জি জানিয়েছিলেন পুজোর সময়ে আন্দোলন থেকে বিরতি নিয়ে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীর সেই প্রস্তাবের পাল্টা তাঁরা জানিয়েছিলেন, যত ক্ষণ না বিচার পাচ্ছেন, নিয়োগ হচ্ছে, তত দিন রাস্তা ছাড়ার প্রশ্ন নেই। শুধু বিমান বসু নন, অষ্টমীর দিন এই মঞ্চে গিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। নবমীর সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও পৌঁছে গিয়েছিলেন ধর্মতলার গান্ধীর মূর্তির পাদদেশে।
পুজোর সময় যাতে পুলিশ প্রশাসন তাঁদের আন্দোলন তুলে দিতে না পারে সেই জন্য কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এসএসসি ও টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। কলকাতা হাই কোর্ট পুজো শুরুর ঠিক আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, পুজোর মধ্যে কলকাতা শহরে অবস্থান বিক্ষোভ করতে পারবেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার চাকরিপ্রার্থীরা। তবে তা করতে হবে নিয়ম মেনে, শান্তিপূর্ণ ভাবেই। আদালতের দেওয়ার শর্ত মেনে ষষ্ঠী থেকে দশমী চলেছে চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান। তবে বিজয়া দশমীতে তাঁদের বিষাদ কাটাতে বিমানবাবু আসেন মিষ্টি নিয়ে। অনেককে নিজের হাতেই মিষ্টিমুখ করান এই অশীতিপর নেতা। আগামী দিনে প্রয়োজনে আবারও যে তিনি তাঁদের সমর্থন জানাতে আসবেন, তা-ও জানিয়ে দিয়েছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান।