কালীঘাটের বাসভবনে আর মোবাইল নিয়ে ঢুকতে পারবেন না নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরা।
নবান্নে এবং মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাসভবনে আর মোবাইল নিয়ে ঢুকতে পারবেন না নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরা। সোমবার নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত রাজ্য প্রশাসনের। জারি হতে যাচ্ছে নির্দেশিকা। মৌখিক নির্দেশ ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়ে গিয়েছে।
শনিবার গভীর রাতে নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিলেন এক ব্যক্তি। সাত ঘণ্টা সেখানে কাটিয়ে দেন তিনি। ধরা পড়েন রবিবার সকালে। কী করে এমন ঘটনা ঘটল তার তদন্তে নামে লালবাজার। শনিবার রাতে যাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের বদলি করা হয়েছে আগেই। এক জন ইনস্পেক্টর, এক জন সার্জেন্ট, দু’জন কনস্টেবল-সহ কলকাতা পুলিশের ১৫ জনকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, সঙ্গে থাকা মোবাইল ঘাঁটাঘাঁটি করার কারণে কাজে অমনোযোগ এবং গাফিলতি দেখা যাচ্ছে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একাংশের মধ্যে। সে কারণেই নবান্নে এবং মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে মোবাইল নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না ডিউটিরত পুলিশ কর্মীদের।
সোমবার নবান্নের বিশেষ বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্র সচিব বিপি গোপালিকা, রাজ্য এবং কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হবে। নতুন করে সাজানো হবে নবান্নের নিরাপত্তাও। নবান্নে এবং মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢোকা এবং বেরনোর সময় নাম নথিভুক্ত করার ব্যবস্থা রয়েছে। তাতেও কিছু খামতি চোখে পড়েছে তদন্তে। এই নথিভুক্তকরণের পদ্ধতিতে বদল আনা হচ্ছে।
(এই প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশের সময় লেখা হয়েছিল, নবান্নে এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে মোবাইল নিয়ে ঢোকা নিষিদ্ধ হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে এই নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র নিরাপত্তারক্ষীদের জন্য। সবার জন্য নয়। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত)