গ্রাফিক- সন্দীপন রুইদাস।
পেট্রল, ডিজেলের দাম যখন প্রায় রোজই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, পশ্চিমবঙ্গের কোনও কোনও জেলায় তা ১০০ টাকাও ছুঁয়ে ফেলেছে, তখন দামে কেন লাগাম পরানো হচ্ছে না তা নিয়ে রাজ্য বিজেপি এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে একে অন্যকে দোষারোপ শুরু হয়ে গেল। কেন্দ্র বিভিন্ন উপায়ে মানুষের উদ্বেগ বাড়ানোর চেষ্টা করছে বলে একদিকে যেমন অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি পাল্টা প্রশ্ন তুলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন লেভি কমিয়ে কমানোর চেষ্টা করছেন না।
অভিষেক পেট্রল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের দিকেই আঙুল তোলেন। তিনি টুইটে অভিযোগ করেন, ‘পেট্রল, ডিজেলের দাম যখন রেকর্ড গড়ে ফেলেছে, তখন মনে হচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার মানুষের উদ্বেগ কী ভাবে আরও বাড়ানো যায় তারই চেষ্টা চালাচ্ছে। রাজ্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর পুরনো খেলাটা খেলেই চলেছে।’ অভিষেকের টুইটকে রি-টুইট করেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুও। সেখানে তিনি লেখেন, ‘একেবারে সঠিক কথা। আমরা আসলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নানা পদক্ষেপে ২০১৪ সাল থেকেই অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। হয় এক ভাবে, না হলে অন্য ভাবে।’
পেট্রল, ডিজেলের দাম উত্তরোত্তর বেড়ে চলার জন্য রবিবার রাজ্য বিজেপি-র তরফে সদ্য নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে সরাসরি দায়ী করা হয়। একটি টুইটে বলা হয়, ‘রাজ্য থেকে যত কর আদায় করে কেন্দ্র তার ৪২ শতাংশ রাজ্যের প্রয়োজনেই বরাদ্দ করা হয়। এর পরেও কেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের লেভির পরিমাণ কমাচ্ছেন না? অন্য রাজ্যগুলির চেয়ে তো পেট্রল, ডিজেলের দাম পশ্চিমবঙ্গেই বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। সিন্ডিকেটের হাতে টাকা তুলে দেওয়ার জন্যই রাজ্য সরকার লেভির পরিমাণ কমাচ্ছে না। এ বার মানুষ বুঝুন কোন তৃণমূল সরকারকে তাঁরা ভোটে নির্বাচিত করলেন।’
আরও পড়ুন
দেশে সামান্য কমল দৈনিক সংক্রমণ, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু বেড়ে হাজারের কাছে
আরও পড়ুন
কোভ্যাক্সিন ৭৭ শতাংশের বেশি কার্যকর, দাবি
অভিষেকের টুইটের পর রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও একই প্রশ্নে সরব হন। ব্রাত্য তাঁর টুইটে লেখেন, ‘অতিমারি পর্বে পেট্রল, ডিজেলের এই লাগামছাড়া দামবৃদ্ধি দেশজুড়ে সাধারণ মানুষের গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন। যা তাঁর ‘গরিবো কা সরকার’ প্রচারের সঙ্গে মানানসই হচ্ছে না।’