Royal Bengal Tiger

বেড়েছে বাঘ, প্রশ্নে চোরাশিকারও

২৯৬৭ সংখ্যাটি একটি গড় হিসেব। ওই হিসেব অনুযায়ী দেশে সর্বনিম্ন বাঘ থাকতে পারে ২৬০৩টি এবং সর্বোচ্চ হতে পারে ৩৩৪৬টি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২০ ০৬:২২
Share:

দেশে বাঘের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার ছুঁয়ে ফেলেছে। বুধবার আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র দিবসে ২০১৮ সালের বাঘসুমারি রিপোর্ট প্রকাশ করে এই তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০০৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দেশে বাঘের সংখ্যা বার্ষিক ৬ শতাংশ হারে বেড়েছে। তার ফলে ২০১৮ সালের গণনা অনুযায়ী বাঘের সংখ্যা ২৯৬৭টি। যা ২০০৬ সালের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।

Advertisement

২৯৬৭ সংখ্যাটি একটি গড় হিসেব। ওই হিসেব অনুযায়ী দেশে সর্বনিম্ন বাঘ থাকতে পারে ২৬০৩টি এবং সর্বোচ্চ হতে পারে ৩৩৪৬টি। রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে সব থেকে বেশি বাঘ রয়েছে মধ্যপ্রদেশে। সেই রাজ্যে মোট বাঘের সংখ্যা ৫২৬টি। একেবারে গা ঘেঁষে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কর্নাটক। দক্ষিণী ওই রাজ্যে ৫২৪টি বাঘ রয়েছে। সুন্দরবনে ৮৮টি বাঘ রয়েছে। তবে রাজ্যের বন দফতরের হিসেবে ২০১৯-২০ সালে বাদাবনে ওই বাঘের সংখ্যা বেড়ে ৯৬ হয়েছে।

তবে উত্তরবঙ্গ বাঘ শূন্য বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে। ফলে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি নাগাল্যান্ড ও মিজোরামেও বাঘ মেলেনি। বাঘ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে ছত্তীসগঢ়ে। সেখানে ২০১৪ থেকে ২০১৮, চার বছরে ২৭টি বাঘ কমেছে।

Advertisement

বন মন্ত্রকের কর্তারা বলছেন, গোটা পৃথিবীতে যা বাঘ রয়েছে তার প্রায় ৭০ শতাংশ ভারতে বসবাস করে। তাই ভারতে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে আশাব্যঞ্জক। তবে বন্যপ্রাণপ্রেমীদের অনেকে এ-ও বলছেন, ভারতে বাঘের সংখ্যা আরও বাড়তে পারত। বেশ কিছু ক্ষেত্রে রহস্যজনক মৃত্যুর কথা জানা যায় যার সঙ্গে চোরাশিকারের সম্পর্ক উড়িয়ে দেওয়া যায় না। জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ (ন্যাশনাল টাইগার কনজ়ারভেশন অথরিটি বা এনটিসিএ)-র তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ৭৩টি চোরাশিকারের ঘটনা এবং ৮৭টি সন্দেহজনক মৃত্যু হয়েছে। ২০১৮ সালেই ৫১টি বাঘের সন্দেহজনক মৃত্যু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, বাঘের সংখ্যা বাড়লেও চোরাশিকার ও সন্দেহজনক মৃত্যু কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা আটকাতে রাজ্য সরকারগুলি এবং কেন্দ্র কী পদক্ষেপ করে সেটাও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনার বিষয় বলে ব্যাঘ্রপ্রেমীরা মনে করছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement