বৈশাখীকে শোভনের সিঁদুরদানের পরেই ক্ষেপে যায় শোভনের পরিবার। ফাইল চিত্র।
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আর কোনও আক্রমণের জবাব প্রকাশ্যে দিতে চান না স্ত্রী রত্না। তাঁর বিরুদ্ধে শোভনের আনা যাবতীয় অভিযোগের জবাব দিতে চান আদালতেই। রবিবার আনন্দবাজার অনলাইন-কে এমনটাই জানালেন বেহালা পূর্বের বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়।
ঘটনার সূত্রপাত বিজয়া দশমীর সন্ধ্যায়। ওইদিন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঁথিতে সিঁদুর দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। আর এমন ঘটনায় শোভন-বৈশাখীর ওপর বেজায় চটে যায় শোভনের পরিবার। রত্না বলেছিলেন, ‘‘হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী আমি এখনও শোভনের স্ত্রী। তাই ও অন্য কাউকে সিঁদুর পরাতে পারে না।’’ এরপরেই রত্না যোগ করেন, ‘‘স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ অন্য কোনও স্ত্রীলোকের সঙ্গে থাকে, তা হলে ওই স্ত্রীলোককে সমাজ ‘রক্ষিতা’ বলে। রক্ষিতাকে সিঁদুর পরালেই সে স্ত্রী হয়ে যায় না।’’
রবিবার বৈশাখীর হয়ে জবাব দিতে আসরে নামেন শোভন। রত্নার উদ্দেশে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বলেন, ‘‘সাত পাকে বাঁধা পড়েও রত্না রক্ষিতা হয়ে গেছে। অথচ বৈশাখীর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা না পড়েও সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।’’ এখানেই থেমে না থেকে তাঁর অভিযোগ, স্ত্রী রত্না বেশ কয়েক বছর ধরেই অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন। তাঁর আরও দাবি, রত্না যে মোবাইল ফোন নম্বরটি ব্যবহার করতেন তা শোভনের কাগজপত্র ব্যবহার করে নেওয়া। তাই ওই ফোনের গত কয়েক বছরের যাবতীয় কল রেকর্ড তাঁর কাছে রয়েছে। সেখান থেকেই তিনি প্রমাণ পেয়েছেন রত্না গোপনে কলকাতার বাইরে যেতেন। ক্রেডিট কার্ডের বিস্তারিত তথ্য-সহ আরও অনেক কিছু এ বার সামনে আনবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শোভন।
শোভনের এমন আক্রমণে জবাব হিসেবে রত্না বলেন, ‘‘আমি আর ওঁর কথার কোনও জবাব দিতে চাই না। তবে আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ শোভনবাবু করছেন। বা যে সব প্রমাণ তিনি প্রকাশ্যে আনবেন বলেছেন। তার সবকিছুর জবাব আমি আদালতেই দেব।’’