‘ট্রয়ের ঘোড়া’ মন্তব্যে তথাগতকে পাল্টা স্বপনের।
মুকুল-প্রস্থান নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যেই দুই প্রবীণ নেতার মধ্যে মতানৈক্য বিজেপি-তে। ভোটের আগে তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে আসা নেতাদের ‘ট্রয়ের ঘোড়া’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন তথাগত রায়। কড়া ভাষায় তাঁর সেই মন্তব্যের সমালোচনা করলেন দলেরই সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। তাঁর মতে, ভোটের সময় আন্তরিক ভাবে দলের জন্য খেটেছেন যাঁরা, তাঁদের সকলকে ‘ট্রয়ের ঘোড়া’ বলে দাগিয়ে দেওয়া অন্যায়। বরং প্রবীণ এবং নবীন, সকলকে নিয়েই দলকে এগোতে হবে বলে বার্তা দিয়েছেন তিনি।
তথাগতর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সোমবার টুইটারে লেখেন স্বপন। সরাসরি তথাগতর নাম না তুলে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলায় ২০১৯-এর মে মাসের পর যাঁরা বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের সকলকে ট্রয়ের ঘোড়া হিসেবে দেখা অন্যায়। নবাগতদের অনেকেই অন্তরিক ভাবে ভোটে অংশ নিয়েছিলেন। কোনও পরিস্থিতিতেই তাঁদের অবাঞ্ছিত বোধ করানো উচিত নয়। রাজনীতি বাদ দেওয়ার খেলা নয়। খারাপ সময়ে পাশে থাকতে হয় এবং নতুন নেতা তৈরি করতে হয়।’
মুকুল চলে যাওয়ার পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আরও অনেকের তৃণমূলে যাওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তা নিয়ে তথাগতর বক্তব্য ছিল, ভোটের আগে বিজেপি-তে এসে দলের খুঁটিনাটি জেনে যে যার মতো ‘ঘরে’ ফিরে গিয়েছেন। তাঁদের স্বার্থপরতায় বিজেপি-রই আদতে ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তথাগত। কিন্তু স্বপনের বক্তব্য, ‘যাঁরা একটি দলকে ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির মাধ্যম হিসেবে দেখেন, দরজা সর্বদা খোলাই রয়েছে। অন্য রাস্তা দেখতেই পারেন তাঁরা।’
তবে এই প্রথম নয়। মুকুলের তৃণমূলে ফিরে যাওয়া নিয়ে যখন তোলপাড় বিজেপি, সেই সময়েও ধৈর্য এবং স্থিরতার বার্তাই দেন স্বপন। শুক্রবার নতুন করে তৃণমূলে মুকুল এবং তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু অভিষিক্ত হওয়ার পর স্বপনের বক্তব্য ছিল, ‘নির্বাচনে ধাক্কা নিশ্চিত ভাবে উদ্বেগের। তবে বিজেপি-র উচিত শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া।’ দলের প্রবীণ ও নবীন সব নেতাকেই খোলসে গুটিয়ে যাওয়ার বদলে নির্বাচনে প্রাপ্ত ২ কোটি ২০ লক্ষ ভোটে ভর করে আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছনোর বার্তা দেন তিনি।