মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সিঙ্গুরে জমি সংক্রান্ত আইন পাশের ১০ বছর পূর্তিতে টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে কৃষকস্বার্থে লড়াই চলবে। সেই টুইটে কৃষকদের দাবি আদায় এবং তাঁদের জীবনযাত্রার পরিবর্তনে নিজের লড়াইয়ের কথা স্মরণ করেছেন মমতা।
বাম সরকারকে সরিয়ে ২০১১ সালে প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গের ক্ষয়তায় আসে মমতার নেতৃত্বাধীন সরকার। সে বছর ১৪ জুন বিধানসভায় পাশ হয়েছিল ‘সিঙ্গুর জমি পুনর্বাসন এবং উন্নয়ন বিল ২০১১’। এই আইন পাশ করানোর জন্য তৃণমূলের লড়াইয়ের কথা স্মরণ করিয়েছেন মমতা। তিনি লিখেছেন, ‘দীর্ঘ এবং কঠিন লড়াইয়ের পর ১০ বছর আগে, আজকের দিনে সিঙ্গুর জমি পুনর্বাসন এবং উন্নয়ন বিল ২০১১ পাশ হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায়। কৃষকদের অধিকার, অভিযোগকে সামনে আনা এবং জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার জন্য আমারা সঙ্ঘবদ্ধভাবে লড়াই করেছি।’
কৃষকদের জন্য নিজের লড়াইয়ের কথা স্মরণ করানোর পরই কৃষকদের প্রতি নরেন্দ্র মোদী সরকারের উদাসীনতাকে বিঁধেছেন। কৃষকদের লড়াইয়ে তাঁদের পাশে থাকার বার্তাও দিয়ে অপর একটি টুইটে লিখেছেন, ‘কেন্দ্রের উদাসীনতায় দেশ জুড়ে কৃষকরা যে ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তা আমাকে কষ্ট দিচ্ছে। সমাজের মেরুদণ্ড যাঁরা, তাঁদের (কৃষকদের) ভালর জন্য আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। কৃষকদের অধিকার আমাদের অগ্রাধিকার।’
২০২০ সালে কেন্দ্র নতুন তিনটি কৃষি আইন তৈরি করে। গত বছর থেকে এই নয়া তিন আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন কৃষকরা। সেই আন্দোলন ঘিরে বহু ঘটনার সাক্ষী থেকেছে দেশ। তৃণমূল নেত্রী শুরু থেকেই এই আন্দোলনে কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। মমতা নিজে না গেলেও তৃণমূলের প্রথম সারির অনেক নেতায় দিল্লি সীমানায় কৃষকদের ধরনায় উপস্থিত ছিলেন। ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েক-সহ বেশ কয়েকজন কৃষক নেতা সম্প্রতি এসেছিলেন বাংলায়। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর কৃষক নেতাদের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক করেছেন মমতা। বৈঠকের শেষে সাংবাদিক বৈঠকে কৃষক আন্দোলনের পাশে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছিলেন তিনি। সিঙ্গুর আইন পাশ হওয়ার ১০ বছর পূর্তিতে কৃষকদের জন্য নিজের লড়াইয়ের কথা আরও এক বার স্মরণ করালেন মমতা।