Fire Works

Fire Crackers: বাজি পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আতশবাজি উন্নয়ন সমিতি

শুক্রবার পরিবেশকর্মী রোশনি আলির দায়ের করা এক মামলার ভিত্তিতে কালীপুজো ও দীপাবলিতে সব ধরনের বাজি বিক্রি ও পোড়ানো নিষিদ্ধ করে কলকাতা হাই কোর্ট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২১ ১২:৫১
Share:

আতশবাজি উন্নয়ন সমিতি এখন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের অপেক্ষায়। ফাইল চিত্র।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেল আতশবাজি উন্নয়ন সমিতি। শনিবার রায়ের বিরুদ্ধে হলফনামা দাখিল করা হয়েছে। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি হবে। আতশবাজি উন্নয়ন সমিতির বক্তব্য, যেখানে দেশের সর্বোচ্চ আদালত পরিবেশ বান্ধব আতশবাজিকে ছাড় দিয়েছে, জাতীয় পরিবেশ আদালত (ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুন্যাল) তাতে সিলমোহর দিয়েছে, সেখানে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের তারা বিরোধিতা করছে। সেই কারণে দেশের শীর্ষ আদালতে তারা সুবিচার চেয়েছে।

Advertisement

শুক্রবার পরিবেশকর্মী রোশনি আলির দায়ের করা এক মামলার ভিত্তিতে কালীপুজো ও দীপাবলিতে সব ধরনের বাজি বিক্রি ও পোড়ানো নিষিদ্ধ করে কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের নির্দেশে বলা হয়, এই উৎসবে কোনও বাজি ব্যবহার করা যাবে না। শুধুমাত্র প্রদীপ প্রদীপ ও মোমবাতি জ্বেলেই দীপাবলি, ছট, কিংবা গুরু নানকের জন্মদিনের মতো উৎসব পালন করতে হবে।

বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। এই অবস্থায় বাজি পোড়ানো, বিক্রি করার অনুমতি দেব কী ভাবে? বৃহত্তর মানুষের স্বার্থের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত। ক্রেতা, বিক্রেতা, প্রস্তুতকারী সংস্থা— সবার কথা ভাবতে হবে।’’

আদালত আরও বলে, পরিবেশবান্ধব বাজির অনুমতি দিয়েছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, কিন্তু সেগুলো কী ভাবে পরীক্ষা করা হবে? সাধারণ বাজিকে যে পরিবেশবান্ধব বাজি বা গ্রিন ক্র্যাকার্স বলে বিক্রি করা হবে না, তারই বা নিশ্চয়তা কোথায়। কে পরীক্ষা করবেন সেই বাজি, তারও কোনও উত্তর পর্ষদের কাছে নেই। জবাবে আতশবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায় বলেন, ‘‘আদালতের একটি রায় তখনই সঙ্গত হয়, যখন তা কার্যকর হয়। তেমনই আতশবাজি পরীক্ষার পরে যখন তাতে সরকারি সিলমোহর পড়ে, তখন তা পরিবেশবান্ধব বাজির মর্যাদা পায়। তারপরেই তা ব্যবহার করা হয়।’’

Advertisement

আতশবাজি উন্নয়ন সমিতির আশা, তাদের শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ৩১ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে। তাই দেশের শীর্ষ আদালত কোনও নির্দেশ দেওয়ার আগে অবশ্যই তাদের যুক্তিগুলি দেখবেন। সোমবারই সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে রায়দান করবে বলে মনে করছে আতশবাজি উন্নয়ন সমিতি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement