জোড়াফুল শিবিরের দাবি, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকাতেই করোনাকে ঢাল করছে বিজেপি।
বাংলা থেকে কোনও ব্যক্তি বিমান, রেল কিংবা সড়ক পথে ত্রিপুরায় এলে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক। এই মর্মেই শুক্রবার গভীর রাতে ত্রিপুরায় নির্দেশিকা জারি করেছে বিপ্লব দেবের সরকার। ওই নির্দেশিকা নিয়ে আবার নতুন করে শুরু হল তৃণমূল-বিজেপি তরজা। জোড়াফুল শিবিরের দাবি, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকাতেই করোনাকে ঢাল করছে বিজেপি।
রবিবারই আগরতলায় একটি সভা করার কথা অভিষেকের। তার আগেই নয়া কোভিড নির্দেশিকা জারি করল ত্রিপুরা সরকার। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২৬ অক্টোবরের পর থেকে যে সব রাজ্যের একাধিক জেলায় সংক্রমণের হার পাঁচ শতাংশের বেশি, সেই সব রাজ্যের কোনও ব্যক্তি ত্রিপুরায় এলে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক। এর সঙ্গে নির্দেশিকায় যে সব রাজ্যের উল্লেখ করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে কেরল, হিমাচল, সিকিম, মণিপুর, পশ্চিমবঙ্গ, মিজোরাম, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে ত্রিপুরায় তৃণমূলকে আটকাতেই নতুন কোভিড নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এ বিষয়ে বলেন, ‘‘বিপ্লব দেবের সরকার ভয় পেয়েছে। নির্দেশিকায় রাজ্যের তালিকা থেকে দিল্লি, অসম বাদ কেন? দাদারা, জেঠুরা আসে বলে অভিষেককে ভয় পাচ্ছে। ওঁকে আটকাতে সব রকম চেষ্টা করেছিল। গোটা শহরে ১৪৪ ধারা কার্যকর করে দিয়েছিল। এখন সভা হচ্ছে দেখে করোনাকে ঢাল করতে শুরু করেছে।’’