৫৮ শিশু ফিরল ঘরে

পরিচয়পত্র ছিলা না তাদের। এমনকী টিকিটও। গত ৫ জুন কেরলের পাল্লাকাড় স্টেশনে নামামাত্র পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছিল। মালদার ওই ৫৮টি শিশু-কিশোরকে ট্রেনে নিয়ে যাচ্ছিল যারা, একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সেই তিন প্রতিনিধিকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের ঘরে ফেরানোর চেষ্টা চলছিল এত দিন। মহ্গলবার তাদের ফিরিয়ে আনা হল মালদহের রতুয়ায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০১৪ ০২:৪৪
Share:

পরিচয়পত্র ছিলা না তাদের। এমনকী টিকিটও। গত ৫ জুন কেরলের পাল্লাকাড় স্টেশনে নামামাত্র পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছিল।

Advertisement

মালদার ওই ৫৮টি শিশু-কিশোরকে ট্রেনে নিয়ে যাচ্ছিল যারা, একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সেই তিন প্রতিনিধিকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

তাদের ঘরে ফেরানোর চেষ্টা চলছিল এত দিন। মহ্গলবার তাদের ফিরিয়ে আনা হল মালদহের রতুয়ায়।

Advertisement

মালদহের চাইন্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির (সিডব্লুসি) চেয়ারম্যান হাসান আলি শাহ বলেন, “ হস্টেলে রেখে ইংরেজি শিক্ষা দেওয়া হবে বলে ১২৩ জন শিশু কিশোরকে মালদহ থেকে কেরলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে শুনেছি। তাদের মধ্যে ৫৮ জনকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বাকিদেরও ফিরিয়ে আনার জন্য তাদের বাড়ির লোকজন অনুরোধ করেছেন। অভিভাবকরা লিখিত আর্জি জমা দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সিডব্লুসি সূত্রে জানা গেছে ওই শিশু-কিশোরদের প্রত্যেকেরই বয়স পাঁচ থেকে চোদ্দ। সকলেই মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর, রতুয়া ও লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা। তাদের কেরলের একটি ট্রাস্টে রেখে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করানোর আশ্বাস দিয়ে নিয়ে যান ওই তিন জন। আইন অনুযায়ী, নাবালকদের কোথাও নিয়ে যাওয়ার সময়ে পরিচয়পত্র, অভিভাবকদের অনুমতিপত্র ও সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের শংসাপত্র থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিরা এর কোনটাই দেখাতে পারেননি। এরপরেই উদ্ধার হওয়া শিশু-কিশোরদের আদালতের মাধ্যমে কেরলের সংশ্লিষ্ট জেলার চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির (সিডব্লুসি) হাতে তুলে দেওয়া হয়। মালদহের সিডব্লুসির প্রতিনিধি ও শিশু-কিশোরদের অভিভাবকরা কেরলে যোগাযোগ করেন। এরপরেই তাদের পিরিয়ে আনার তোড়জোড় শুরু হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement