রেল অবরোধ ‘সফল’ করতে আয়োজনের কোনও ত্রুটি রাখতে চাননা উদ্যোক্তারা।
পাঁচ হাজার লোকের জন্য ঢালাও খিচুড়ি ও সব্জির ব্যবস্থা পাকা। অস্থায়ী রান্নাঘরে ১০ কুইন্টাল সরু আতপ চাল, চার কুইন্টাল সোনামুগ ও ৬০ কেজি সরষের তেল মজুত করা হয়েছে। কেনা হয়েছে ৫ কুইন্টাল সব্জি। চারটি গ্যাস ওভেনে ১০ জন রাঁধুনি সকাল থেকে হাড়ি চড়াবেন। থাকছে ঢালাও চায়ের ব্যবস্থাও। এমনকি অবরোধে আটকে পড়া যাত্রীদের জন্য মিষ্টির প্যাকেট। ছোটদের জন্য নানা স্বাদের চকলেট ও ১০০ লিটার দুধ, ৪০০০ লিটার জলের বোতলও আনা হয়েছে।
উড়ালপুল তৈরি, দিল্লি ও শিলিগুড়ি গামী দুটি ট্রেন আলিপুরদুয়ারের বদলে কামাখ্যাগুড়ি স্টেশন থেকে ছাড়ার দাবি ও বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেনের স্টপের দাবিতে শনিবার সকাল ১০ টা থেকে ডুয়ার্সের কুমারগ্রাম ব্লকের কামাখ্যাগুড়ি রেল স্টেশনে অবরোধের ডাক দিয়েছে কামাখ্যাগুড়ি ব্যবসায়ী সমিতি। ওই আন্দোলনে সামিল হয়েছে এলাকার অধিকাংশ ক্লাব, রাজনৈতিক দল, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, এবং শ্রমিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি। এর জন্য সর্বদলীয় কমিটিও গড়া হয়েছে। আয়োজনে যেন কোনও খামতি না থাকে সেদিকে সজাগ নজর রেখেছেন ব্যবসায়ী সমিতির কর্তারা। বাজেট ধরা হয়েছে এক লক্ষ টাকা। কোথা থেকে আসবে ওই টাকা? ব্যবসায়ীরাই জানালেন সবাই চাঁদা দিয়েছেন।
উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিভিশনাল ম্যানেজার রাজেন্দ্র সিং বলেন, “অবরোধে যাওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত হচ্ছে না। মাথায় রাখতে হবে এর জন্য কয়েক হাজার যাত্রীকে হয়রানির শিকার হতে হবে।”
এ দিকে দাবি আদায়ে অবরোধের জন্য গত ১৫ দিন ধরে এর জন্য চাঁদা তোলা ও পোস্টার, ব্যানার ও মাইকে প্রচারও চালানো হয়েছে। এই আন্দোলন কে সমর্থন জানিয়েছেন কুমারগ্রামের আরএসপি বিধায়ক মনোজ কুমার ওঁরাও। তিনিও অবরোধে সামিল হবেন। অবরোধ কমিটির অন্যতম সদস্য বাপি সাহা জানিয়েছেন, অন্তত ৭ হাজার মানুষ রেল অবরোধে সামিল হবেন। অবরোধের এক ঘন্টার মধ্যে রেল কর্তৃপক্ষ আলোচনা করে দাবি পূরণের লিখিত আশ্বাস দিলে কি হবে? বাপিবাবু বলেন, “তখন সেটা উত্সবের আকার নেবে। আরও বেশি লোকজনকে খাওয়ানো হবে।”