রাজস্ব আদায় হলেও উন্নতি হয়নি পিকনিকস্পটের, ক্ষোভ

বছরের পর বছর রাজস্ব আদায় হলেও, ‘পিকনিক স্পট’গুলিতে যাতায়াতের রাস্তা সংস্কার বা পানীয়জলের ব্যবস্থা সহ পরিকাঠামো উন্নয়নের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। রাস্তাগুলির পরিস্থিতি বেহাল। নেই পানীয় জলের সুব্যবস্থা। রান্না বা খাওয়ার জলের জন্য একমাত্র ভরসা নদীর জল। পিকনিক স্পটগুলিতে আবর্জনার স্তুপ, ঝোপ জঙ্গলে ভরে আছে বলে অভিযোগ। আলিপুরদুয়ার ২ ও কুমারগ্রাম ব্লকের রায়ডাক, জয়ন্তী, ফাঁসখোয়া, সংকোশ, তুরতুরি সহ বিভিন্ন নদীর ধারের পিকনিক স্পটগুলির এমন হাল নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা এবং পর্যটকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরী হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শামুকতলা শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:১২
Share:

বছরের পর বছর রাজস্ব আদায় হলেও, ‘পিকনিক স্পট’গুলিতে যাতায়াতের রাস্তা সংস্কার বা পানীয়জলের ব্যবস্থা সহ পরিকাঠামো উন্নয়নের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। রাস্তাগুলির পরিস্থিতি বেহাল। নেই পানীয় জলের সুব্যবস্থা। রান্না বা খাওয়ার জলের জন্য একমাত্র ভরসা নদীর জল। পিকনিক স্পটগুলিতে আবর্জনার স্তুপ, ঝোপ জঙ্গলে ভরে আছে বলে অভিযোগ। আলিপুরদুয়ার ২ ও কুমারগ্রাম ব্লকের রায়ডাক, জয়ন্তী, ফাঁসখোয়া, সংকোশ, তুরতুরি সহ বিভিন্ন নদীর ধারের পিকনিক স্পটগুলির এমন হাল নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা এবং পর্যটকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরী হয়েছে।

Advertisement

আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের বিডিও সজল তামাং বলেন, “পিকনিক স্পটগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নে বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই সেগুলি বাস্তবায়ন করা হবে। সিকিয়াঝোড়া ও ছিপড়া পিকনিকস্পটের পরিকাঠামো উন্নয়নে ১ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে কাজ শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই সেগুলি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।” আলিপুরদুয়ারের সাংসদ দশরথ তিরকে জানিয়েছেন সাংসদ তহবিল থেকে পিকনিকস্পটগুলি পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য অর্থ বরাদ্দের ব্যপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

গ্রাম পঞ্চায়েত ও বন দফতরের সহযোগিতার অভাবে পিকনিক স্পট রক্ষণাবেক্ষন কাজে নিযুক্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং বন সুরক্ষা কমিটিগুলি এ কাজ থেকে এখন মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে। কুমারগ্রাম ব্লকের ফাঁসখোয়া পিকনিক স্পটের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সুইস স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা জানালেন শামুকতলা থেকে ফাঁসখোয়ার দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। হাতিপোতা পর্যন্ত আসার রাজ্য সড়ক ভাল থাকলেও রাজ্য সড়ক থেকে পিকনিক স্পটে যাওয়ার পুরো রাস্তা বেহাল বলে অভিযোগ।

Advertisement

বছরকয়েক আগে সিকিয়াঝোরা নদীর ধারে ৫০ লক্ষ টাকা খরচ করে পিকনিক স্পট গড়ে তোলা হয়। পর্যটকদের রাত্রিযাপনের জন্য কটেজও তৈরি করা হয়। চালু হয় বোটিংও। যদিও, বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেহাল হয়ে পড়েছে সিকিয়াঝোরা পিকনিক স্পট। রাস্তা বেহাল, পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই।

গত বছর ব্লক প্রশাসন ওই পিকনিক স্পটের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু করার কথা জানালেও, এক বছর পরেও সে কাজ শেষ হয়নি বলে অভিযোগ। এ ছাড়াও রায়ডাক, সংকোশ, ধারসি, গদাধর জয়ন্তী নদীর ধারে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল লাগোয়া এলাকার পিকনিক স্পটগুলির একই হাল বলে বাসিন্দাদের দাবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement