মোটরবাইক চুরির সন্দেহে মার, জখম ১

মোটরবাইক চোর সন্দেহে এক যুবককে গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল লাগোয়া এলাকায়। শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ এক যুবক একটি মোটরবাইকে বসে দু’তিনটি চাবি দিয়ে তালা খোলার চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগ। তখনই চোর সন্দেহে তাকে মারধর শুরু করেন কয়েকজন বাসিন্দা। আশপাশ থেকে আরও কয়েকজন তাঁদের সঙ্গে যোগ দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ওই যুবককে উদ্ধার করে মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করায়। পুলিশ জানিয়েছে, জখম যুবকের নাম দিলবার শেখ। বছর পঁচিশের ওই যুবকের বাড়ি কালিয়াচক থানার সুজাপুরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:৪৫
Share:

মোটরবাইক চোর সন্দেহে এক যুবককে গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল লাগোয়া এলাকায়। শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ এক যুবক একটি মোটরবাইকে বসে দু’তিনটি চাবি দিয়ে তালা খোলার চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগ। তখনই চোর সন্দেহে তাকে মারধর শুরু করেন কয়েকজন বাসিন্দা। আশপাশ থেকে আরও কয়েকজন তাঁদের সঙ্গে যোগ দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ওই যুবককে উদ্ধার করে মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করায়। পুলিশ জানিয়েছে, জখম যুবকের নাম দিলবার শেখ। বছর পঁচিশের ওই যুবকের বাড়ি কালিয়াচক থানার সুজাপুরে।

Advertisement

মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একটি ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। জানা গিয়েছে, এ দিন নির্মাণের দায়িত্বে থাকা রাজমিস্ত্রি প্রবীর ভাস্কর তাঁর মোটরবাইকটি রাস্তার পাশে রেখে ওই নির্মিয়মান ভবনে যান। সে সময় দিলবার শেখ তাঁর বাইকে বসে, তালা খোলার চেষ্টা শুরু করে বলে অভিযোগ। বিষয়টি কয়েকজনের নজরে পড়ায় দিলবারকে নানা প্রশ্ন করতে শুরু করেন তারা। দিলবারের উত্তরে অসঙ্গতি থাকাতেই তাকে মারধর করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন কয়েকজন বাসিন্দা। দিলবারের থেকে বেশ কয়েকটি চাবি উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। ইংরেজবাজার থানার আইসি দিলীপ কুমার কর্মকার বলেন, “ কোনও তরফেই এখনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।”

এ দিকে আহত যুবক দিলবার বলেন, “মোটরবাইকের কাছে দাঁড়াতেই আমাকে মারধর শুরু করে ওরা। যে চাবিগুলির কথা বলা হচ্ছে, সেগুলি পুরোনো। অনেকদিন ধরেই আমার কাছে ছিল।” ঘটনাটি হাসপাতাল চত্বরে ঘটেনি বলে জানিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি হাসপাতালের সুপার মহম্মদ আব্দুর রশিদ। মেডিক্যাল কলেজের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার কমিটির সম্পাদক মাসুদ রহমান বলেন, “আমাদের পরীক্ষা চলায় সকলেই ব্যস্ত। কী ঘটেছে, তা আমার জানা নেই।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement